বলিদান পঞ্চ ইন্দ্রিয় ও ষড় রিপুকে জয় করতে সাহায্য করে। ছাগল হচ্ছে কামের প্রতীক, ক্রোধের প্রতীক মহিষ, লোভের প্রতীক মেষ, মোহের প্রতীক কদলি, ইক্ষু বা আখ হলো মদের প্রতীক আর মাৎসর্যের প্রতীক হচ্ছে চালকুমড়ো। বলির মাধ্যমে পশুর পশুত্বের মুক্তি ঘটে। মানুষ ধ্যান, আধ্যাত্মিকতা দ্বারা মুক্তি পেলেও পশুর পক্ষে সেটা সম্ভব নয়, তাই দেবী বলির দ্বারা তাদের মুক্তি দেন।
অনেক পূর্বে নরবলি হতো, তারপর কালীঘাটের কাপালিক দের দ্বারা নরবলি বাদ দিয়ে উপরের ছয়টি জিনিষকে বেছে নেন শাস্ত্রের আধারে। এরফলে কাপালিকরা দুভাগে ভাগ হয়ে যায় – মুলতন্ত্র ও নৈবিক। মূলতন্ত্রের অনুগামীরা বলি দেওয়া ছাগলের মাংস খেত। আর নৈবিকরা তাদের পুজোর জায়গা হিসাবে বেছে নেয় শ্মশানভূমিকে।
ব্রহ্মবিদ্যা জীবদশা-নিহন্ত্রীতি শ্রুতৌ শ্রুতম্।
তৎ তস্মাৎ কারণাদ দেব্যা বলিদানং প্রিয়ং মতম্।।
অর্থাৎ বলিদানে নিহত পশুকে দেবী মুক্তি দান করেন, তাকে আর পশু জন্ম গ্রহণ করতে হয় না।
সাধারণ চোখে বলির দ্বারা পশুর প্রতি অত্যাচার আপনার মনে হলেও এখানে পশুর আত্মার মুক্তি দেওয়া হয়।
(ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া)