বেজায় মুশকিলে পড়েছেন নিমাই সাঁতরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা চিঠি এসে পৌঁছেছে সেই কবে। জানানো হয়েছে, কৃষি বিপনন দফতরের তরফে ‘আমার ফসল আমার গাড়ি’ প্রকল্পে তিন চাকার ভ্যান দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে মাসের পর মাস গড়ালেও সে ভ্যানের দেখা অবশ্য মেলেনি। নানা দরজায় ঘুরেও কোনও হিল্লে না হওয়ায় এখন ভাবতে বসেছেন নিমাইবাবু। তাঁকে স্রেফ হেয় করতেই এই চিঠি পাঠানো হল না তো!
বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাগরোল গ্রামের বাসিন্দা নিমাই সাঁতরা।
সামান্য কিছু জমির চাষের ভরসায় কোনও মতে দিন গুজরান হয় বছর সত্তরের নিমাইবাবুর। বয়স হলেও চাষের কাজ নিজেকেই করতে হয়। কারণ বাড়িতে শুধু আরও বৃদ্ধা মা। মুখ্যমন্ত্রীর সই করা এমন চিঠি আসাতে খুশি হয়েছিলেন খুব। যেটুকুই হোক মাঠের ফসলটুকু তো আর কষ্ট করে টেনে আনতে হবে না।
কিন্তু বাস্তবে চিঠি পাওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় এক বছর। এরমধ্যে অশক্ত শরীরে বেশ কয়েকবার হাঁটাহাঁটি করেছেন জেলা প্রশাসনের দরজায় দরজায়। বললেন, “পঞ্চায়েত, ব্লক, কৃষি দফতর থেকে মহকুমা প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছি। কিন্তু ভ্যানটা যে কবে পাব বলতে পারেননি কেউ। আমাকে নিয়ে মজা করতেই কি এই চিঠি পাঠানো হল?”
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “বিষয়টা আমার জানা ছিল না। অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখব।”