জিয়াগঞ্জ খুন: সরকারের উপর চাপ বাড়াতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে বিজেপি

রাজ্য বিজেপি শনিবার কলকাতার মেয়ো রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এই বিক্ষোভ আগামী কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষিক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইট করে জানিয়েছেন, জিয়াগুঞ্জ খুনের ঘটনার প্রতিবাদ চলতেই থাকবে।

উল্লেখ্য, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদের জিয়াগুঞ্জ এলাকায় শিক্ষক এবং তাঁর পরিবার খুনের ঘটনা সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে বলেছেন, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই। মুর্শিদাবাদের জিয়াগুঞ্জ এলাকায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযান করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “হাওড়া-কলকাতা এক করে দেব। নবান্নে শাসককে শান্তিতে থাকতে দেব না। বন্ধু গোপাল এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্র খুনের বিচার চাই।”

শুক্রবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সভা করে বিজেপি। ওই সভায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করেন, জিহাদি আক্রমণের খুন হয়েছে পাল পরিবার।

ছোট শিশুটির দেহ যেভাবে ছিন্ন ভিন্ন করা হয়েছে তা থেকেই পরিষ্কার, এটি ‘প্রতিশোধ মূলক খুন।’ নাহলে, কেউ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বা শিশুকে খুন করতে পারে না। মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন হিসাবেই দাবি করছে বিজেপি। বন্ধুগোপাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কর্মী ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে মনে করে বিজেপি। একই সঙ্গে তদন্তে পুলিশের গাফিলতি দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

বিজেপির দাবি, পুলিশ যা তদন্ত করছে তাতে সন্দেহের কারণ আছে। বিজেপি নেত্রী এবং প্রাক্তন আই পি এস ভারতী ঘোষ বলেন, বারাকপুরে পুলিশ কুকুর গুলি কি করছিল। তদন্তে কুকুর ব্যবহার করা হলো না। ভারতীয় কথার রেশ ধরে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, পুলিশ কালীঘাটের কুকুর হয়ে গিয়েছে। কাজ করবে কি করে। কোন বিজেপি নেতাকে জাল কেস দিতে হবে এই চিন্তা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.