ইমরানকে ‘বড় ভাই’ সম্বোধন সিধুর, কংগ্রেস নেতার পাক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির।

কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশংসা করছিলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। সব ঠিকই ছিল, কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একটু বেশিই প্রশংসা করে ফেলেন তিনি। এমনকী বড় ভাই বলেও সম্মোধন করেন ইমরান খানকে। আর তাই নিয়েই এবার কংগ্রেস শিবিরকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি নেতৃত্ব।

কর্তারপুর করিডরে নভজ্যোৎ সিং সিধুর এক ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লিখেছেন,”রাহুল গান্ধীর প্রিয় পাত্র নভজ্যোৎ সিং সিধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তাঁর বড় ভাই হিসেবে ডাকছেন। এর আগে, পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়াকে আলিঙ্গনও করেছিলেন সিধু।”

সঙ্গে মালব্য আরও লেখেন, “এটা কি খুব অবাক করার মতো যে বর্ষীয়ান অমরিন্দর সিংয়ের পাশে না দাঁড়িয়ে গান্ধী পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পাকিস্তান প্রেমী সিধুর পাশে দাঁড়িয়েছেন?”

উল্লেখ্য, সিধুর বিরুদ্ধে পাক ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ এই প্রথম নয়। সাম্প্রতিককালে, অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে নভজ্যোৎ সিং সিধুর বিরোধ শুরু হলে তা আবারও চর্চায় উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে বেশি দেরি করেননি পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নভজ্যোৎ সিং সিধুর বিরুদ্ধে জমে থাকা একরাশ রাগ এবার প্রকাশ করেই ফেলেন তিনি। বলেছিলেন, নভজ্যোৎ সিং সিধু একেবারে অযোগ্য একজন মানুষ। তিনি আগামী দিনে কংগ্রেসের জন্য একটি বিপর্যয়ের কারণ হতে চলেছেন।” পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন যে কখনোই সিধুর নাম নেবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়ে রেখেছিলেন, “পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আমি তাঁর নামের বিরোধিতা করব।”

ক্যাপ্টেনের অভিযোগ ছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে নাকি সিধুর যোগাযোগ রয়েছে। আর তাই সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে, তা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হবে বলেই মনে করছেন তিনি।

পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, “সিধুর সঙ্গে পাকিস্তানের সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ইমরান খানও তাঁর বন্ধু। সিধুকে যদি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা হয়, তাহলে আমি তার বিরোধিতা করব।” তিনি আরও বলেন, আমার দেশকে বাঁচাতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নভজ্যোৎ সিং সিধুর নামের বিরোধিতা করব। এটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.