সামনেই অক্টোবর মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় হতে চলেছে নির্বাচন। দ্বিতীয়বার শাসনক্ষমতায় আসার পরে গেরুয়া শিবির যে এই দুই রাজ্যর বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই কোন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের। এই দুই রাজ্যর নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ হেভিওয়েট বিজেপি নেতারা। তবে নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে ছিলেন না বিরোধী দলগুলিও।
নির্বাচনী প্রচারে এই দুই রাজ্যতে এসে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টও।
তবে এবিপির সি ভোটারের সমীক্ষাও জানাচ্ছে বিজেপির জয়ের কথা। সমীক্ষা অনুযায়ী কংগ্রেসের আসন গিয়ে ঠেকতে পারে মাত্র তিনে। রাজ্য জুড়ে বিজেপি ঝড়ের সামনে রাফালে ও হিন্দুত্ব নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদ যে ভোটবাক্সে পরবে না তা এই সমীক্ষা থেকে একপ্রকার নিশ্চিত হওয়াই যায়। এবিপির সমীক্ষার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে আইএএনএস সি সমীক্ষাও। তাদের করা সমীক্ষা অনুসারেও কংগ্রেসের আসনসংখ্যা কমবে।
অর্থাৎ এই দুই রাজ্যতে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী পদে যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও মনোহর লাল খাট্টার থাকবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এবিপির সমীক্ষা অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে সহজেই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি শিবসেনা জোট। সমীক্ষা অনুসারে ২৮৮ টি সদস্যদের মধ্যে বিজেপি ও শিবসেনা জোটের দখলে যেতে পারে ১৯৪ টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস ও এনসিপির আওতায় আসতে পারে মাত্র ৮৬ টি। বাকিরা পেতে পারে ৮ টি। অন্যদিকে আইএএনএস সি ভোটার সমীক্ষা অনুসারে বিজেপির দখলে যেতে পারে ১৮২-২০৬ টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস ও এনসিপির দখলে যেতে পারে ৭২-৯৮ টি আসন। ২০১৪ সালে এই দুই জায়গা থেকে জয় পেয়েছিল বিজেপি। বিজেপির দখলে ছিল ১২২ টি আসন এবং শিবসেনার দখলে গিয়েছিল ৬৩ টি আসন। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই দুই জায়গা থেকে যে পুনরায় গেরুয়া ঝড় উঠতে চলেছে তা সমীক্ষা অনুসারে একপ্রকার নিশ্চিত। তবে ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৪ তারিখ পর্যন্ত।