১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোট। তার মাত্র ৩ দিন আগে সোমবার ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। রামনন্দির নিয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সমাজের একেবারে পিছিয়ে পড়ারা ছাড়াও কৃষক, যুবক, মহিলাদের জন্য প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তেহারে।
- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস।
- ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হবে পুরোদমে।
- সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ করানো হবে।
- রামমন্দির ইস্যুও তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
- ক্রেডিট কার্ডে একলক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন ৫ বছর পর্যন্ত সুদ হবে 0 %।
- সব কৃষকের কাছে কৃষি সম্মাননিধির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে।
- রাষ্ট্রীয় ব্যাপার আয়োগ গঠন করা হবে।
- ছোট দোকানদারদের জন্যও হবে পেনশনের ব্যবস্থা।
- জাতীয় সড়ক দ্বিগুণ করা হবে।
- ২০২০ নাগাদ সব রেললাইনে বৈদ্যুতিকরণ।
- ২০২২ নাগাদ সব রেললাইন ব্রডগেজ করা হবে।
- সবক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদান শুনিশ্চিত করা হবে।
- সব পরিবারের জন্যয় পাকা বাড়ি ও গ্যাসের সংযোগ নিশ্চিত করা হবে।
- পাশ করানো হবে তিন তালাক আইন।
- এদিনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বিজেপির তরফে ইস্তেহারকে সংকল্প পত্র নাম দেওয়া হয়েছে।
সংকল্প পত্র প্রকাশের পর রাজনাথ সিং
নতুন ভারত নির্মাণের কথা বলা হয়েছে এই সংকল্প পত্রে। ইউপিএ সময়ের থেকে অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনা হয়েছে। দাবি রাজনাথ সিং-এর। উন্নয়নও হয়েছে দ্রুত গতিতে। এই সংকল্প পত্রল তৈরি করতে কোটির বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সাহায্য নেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার। শেষে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আগের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী পাঁচ বছর এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প পত্র। পৃথিবীর প্রথম তিনটি শক্তিশালী দেশের মধ্যে ভারতকে আনাই লক্ষ্য।
অমিত শাহের দাবি
ইস্তেহার প্রকাশ করার আগে ভাষণ দেন সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, ২০১৪-২০১৯এ-র যাত্রা ভারতের উন্নয়নের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। দুর্নীতি এবং কালো টাকা উদ্ধারে এই সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুত পৌঁছে গিয়েছে। ৫ বছরে এই সরকার ৫০ টির ওপর বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। ভারত বর্তমানে সুপার পাওয়ার, বলেন তিনি। ফের এনডিএ-কে আশীর্বাদ করুন, আবেদন অমিত শাহের।
কংগ্রেসের ইস্তেহার
ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাদের ইস্তেহারে কল্যাণমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভারতের ২০ শতাংশ গরিবকে ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।