দু’দিন বাদেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের প্রথম পর্ব। তার আগে বুধবার সকালে রাঁচিতে ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ ওই ইস্তাহার প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজ্যের মানুষের কাছে বিজেপির অঙ্গীকার, তাঁদের সরকার হলে দারিদ্র সীমার নীচে থাকা প্রতিটি পরিবার থেকে একজনের চাকরি সুনিশ্চিত হবে।
পড়ুয়াদের জন্যও স্কলারশিপের ঘোষণা করা হয়েছে ইস্তাহারে। বলা হয়েছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বিশেষ প্রকল্প নেবে সরকার। নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের বছরে দু’হাজার ২০০ টাকা এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের বছরে সাত হাজার ৫০০ টাকা স্কলারশিপ দেবে সরকার।
গত পাঁচ বছর বিজেপিরই সরকার ছিল ঝাড়খণ্ডে। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রঘুবর দাস। রবিশঙ্কর এদিন বলেন, আবার আমাদের সরকার হলে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের উপর বিশেষ করে জোর দেওয়া হবে।
তফসিলী জাতি-উপজাতির মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উজ্জীবিত করতে পাঁচলক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকার ঋণ দেবে বলেও এনডিএ-র ইস্তাহারে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ভোট শুরু হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। পাঁচ দফায় হবে ভোট।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মহারাষ্ট্র নাটকের পর ঝাড়খণ্ডের ভোট বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। অনেকের মতে, গত একমাস ধরে মারাঠা মুলুকে যা হয়েছে, সে কথা সবাই জানে। সেই প্রভাব ঝাড়খণ্ডের ভোটেও পড়তে পারে। গত ডিসেম্বর থেকে যে যে রাজ্যে ভোট হয়েছে, সেখানে খুব একটা ভাল ফল হয়নি বিজেপির। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়ে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। অক্টোবরে হওয়া মহারাষ্ট্রের সঙ্গে হরিয়ানাতেও কান ঘেঁষে সরকার গড়েছে বিজেপি। এখন ঝাড়খণ্ডে কী হয় সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।