তিনদিন ধরে আয়কর হানা চলছে মধ্যপ্রদেশের ৫০টির বেশি জায়গায়৷ লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি ও অফিস৷ ইতিমধ্যেই ২৮১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ দিল্লিতে কোনও বড় রাজনৈতিক দলের সদর দফতরে এই অর্থ পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল বলে সূত্রের খবর৷ রাজনৈতিক মহলের মতে কংগ্রেসকেই এই ইস্যুতে নিশানা করছে রাজ্য বিজেপি৷
তবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷ তল্লাশি শুরু হওয়ার আগেই, সেই তল্লাশিতে কত টাকা বাজেয়াপ্ত হবে, তার পরিমাণ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ সোমবারই একটি ট্যুইট করেন কৈলাশ৷ সেখানে পরিষ্কার ২৮১ কোটি টাকার উল্লেখ রয়েছে৷
এদিন তল্লাশি করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি প্রবীণ কক্কড়ের ঘনিষ্ঠ অশ্বিন শর্মার বাড়িতে৷ গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি৷ সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অশ্বিন শর্মা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মালিক৷ তার কাছে এত টাকা কীভাবে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
শুধু অশ্বিন শর্মা নয়, প্রবীণ কক্কড়ের ছেলে সলিলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ কারণ কক্কড়ের বেসিরভাগ কোম্পানি সলিলের নামে৷ তবে গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছেন কক্কড়৷ তাঁর দাবি এটা আয়কর দফতরের নয়, রাজনৈতিক তল্লাশি৷ আধিকারিকরা কোনও আপত্তিজনক নথি বা গয়না উদ্ধার করতে পারেননি৷ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনও সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারেনি তারা৷
আরও পড়ুন : ‘ড্যামেজ কনট্রোল’ করতে আদবানি-যোশীর বাড়িতে হাজির অমিত শাহ
এখানেই প্রশ্ন কি করে তল্লাশি শুরু হওয়ার আগেই বাজেয়াপ্ত টাকার পরিমানের উল্লেখ করলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়? তাহলে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সন্দেহ ও দাবিই সঠিক? এই তল্লাশির পিছনে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য কাজ করছে? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল৷
তবে উল্লেখযোগ্যভাবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র এই ট্যুইটে বিজেপি ব্যকফুটে যেতে পারে, এই আশঙ্কা করে ট্যুইটটি সরিয়ে ফেলা হয় তড়িঘড়ি৷ তবে ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের কাছে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ট্যুইট৷ তাই শেষ রক্ষা করা যায়নি৷