বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় আসতে চলছে। এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ওম প্রকাশ মাথুর। তাঁর দাবি, নির্বাচন পরবর্তী সমীক্ষা যাই বলুক না কেন, প্রথম দফার ভোটে সবকটি আসনেই ফুটবে পদ্ম।
বোকারো-তে নির্বাচনী জনসভা করতে এসে মাথুরের এমন দাবিতে প্রবল আলোড়িত ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহল। বিরোধী মহাজোটের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি সহ অন্যান্য দলগুলির অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করার নতুন উপায় নিয়েছে বিজেপি।
এদিকে গত ৩০ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচনে ১৩টি আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর নির্বাচনী সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছে শাসক বিজেপি। আগামী ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোট। মোট ৫ দফায় নির্বাচন হবে রাজ্যে।
বোকারো পৌঁছে ওম প্রকাশ মাথুর জানান, বিপুল জয় নিয়ে বিজেপি পুনরায় ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠন করবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বরেই তা জানা যাবে। এবার বিজেপি এই রাজ্যে ৬৫টি আসনে জয়ী হয়ে একাই সরকার তৈরির ক্ষমতা অর্জন করতে চলেছে।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট আসন ৮১টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৪১টি আসনের দরকার। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তবে জোটসঙ্গী আজসু (অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন) এবার আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। একইভাবে এনডিএ শরিক এলজেপি ও শিবসেনা আলাদা লড়াই করছে।
বোকারো জনসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জানান, ঝাড়খণ্ডকে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যেতে বিজেপি-কেই ক্ষমতায় আনবেন রাজ্যবাসী।
মাথুরের মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে আজসু। তাদের দাবি, যেভাবে ভোট পড়েছে তাতে পরিষ্কার সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। বিজেপি বারবার রাম মন্দির ও ৩৭০ ধারা-কে ইস্যু করে ভোট চায়। স্থানীয় ইস্যুর কোনও প্রতিফলন নেই বিজেপির কাছে।
শরিকি ভাঙনে ঝাড়খণ্ডে এনডিএ ক্ষত বিক্ষত হলেও ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফের গেরুয়া শিবিরের জোট জমাট হতে পারে বলেই আশা বিজেপির।