‘রামচরিতমানস-এর কারণেই সমাজে বিভেদ, বৈষম্য বাড়ছে’। এমনই মন্তব্য করলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর। দিন দুয়েক আগে নালন্দা ওপেন ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিহারের রাজনীতির উত্তাপ বড় রকমের ফাটল ধরিয়েছে শাসক মহাজোটের প্রধান দুই শরিক লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ ‘আমি কিছু জানি না’ বলে ভারসাম্যের রাজনীতি বজায় রাখার চেষ্টা করলেও তাঁর দলের নেতারা শিক্ষামন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে চড়া সুরে মুখ খুলেছেন।
প্রবীণ বিজেপি নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রীকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, বিহারে মহাজোটের সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। বিজেপি বলছে, বিহারের রাজনীতিতে আরজেডি এবং জেডিইউ হল তেল আর জল। এই দুয়ে কখনও মিশতে পারে না।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের জেডিইউর বিধায়ক নীরজ কুমার পাটনা রেল স্টেশন লাগোয়া হনুমান মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে রামচরিতমানস পাঠ করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁর দাবি, মন্তব্য প্রত্যাহার করে মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী অবস্থানে অনড়। তাঁর বক্তব্য, যা বলেছি, ঠিক বলেছি।