দেশজুড়েই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পাল্লা দিচ্ছে ওমিক্রন। সংক্রমণের এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই বিহার। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মতে বিহারে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার বিহারে নতুন করে ৪৭ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই এই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। তিনি বলেন, “রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।”
গত বছর থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তার প্রশংসাও করোন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সংক্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চিকিৎসকদের অবদান প্রশংসনীয়। আমি এর জন্য সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাধুবাদ জানাচ্ছি।”
রাজ্য়ে এখনও অবধি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ না মিললেও, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের উপর যাতে কড়া নজর রাখা হয়, সেই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্য, যেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই রাজ্য থেকে আগত যাত্রীদের উপরও কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণের লাগাতার বৃদ্ধির কারণে বিহারেও নববর্ষের উদযাপনে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি অবধি রাজ্য়ের সমস্ত পার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোনও পার্কে নববর্ষের উদযাপন করা যাবে না। নতুন বছরে ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
শুধুমাত্র বর্ষবরণের উদযাপনই নয়, যাবতীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংক্রান্ত জমায়েতের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া যাবতীয় করোনা বিধিও মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।