জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। রাজ্যে জাতপাতের এই পরিসংখ্যান বদলে দিতে পারে বিহারের ভোটের অঙ্ক। সেই জনগণনার কথা উল্লেখ না করেও এনিয়ে বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা চলছে।
সোমবার গোয়লিয়রে প্রধানমন্ত্রী এক সভায় বলেন, গরিব মানুষের আবেগ গিয়ে বিরোধীরা আগেও খেলা করেছে। এখনও তাই চলছে। আগেও তারা দেশকে জাতপাতের নামে ভাগ করার চেষ্টা করেছে। এখনও সেটাই করছে। আগেও তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এখন তাদের দুর্নীতি ধরা পড়ে গিয়েছে। দেশকে জাতপাতের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা মহাপাপ।
উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রিপোর্টে বেরিয়ে এল চমকপ্রদ তথ্য। নীতীশ কুমারের রাজ্যে অতি পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে পড়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ, পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে রয়েছেন ২৭.১ শতাংশ। সবেমিলিয়ে রাজ্যে পিছিয়েপড়া মানুষ রয়েছে ৬৩.১ শতাংশ। বিহারের ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে তপসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন ১৯.৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও তপসিলি উপজাতিভূক্ত মানুষ রাজ্যের ১.৭ শতাংশ। রাজ্যে জেনালের ক্যাটিগোরির মানুষ মাত্র ১৬ শতাংশ। রাজ্যে ভূমিহারের হার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, মুখ্যমন্ত্রী জাতি কুড়মিরা রয়েছেন ২.৮৭ শতাংশ।
শনিবার এই জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে ফের সরব হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আগেও এনিয়ে সোচ্চার হয়েছেন রাহুল। এদিন কংগ্রেস নেতা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ক্ষমতায় এলে আমাদের প্রথম কাজ হবে দেশের কত শতাংশ ওবিসি তা জাতিভিত্তিক জনগণনা করে বের করা। কংগ্রেস বারেবারেই বলে এসেছে সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব জাতিভিত্তিক জনগণনা করা।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে আজ বলা হয়েছে, ইউপিএ আমলে জাতিভিত্তিক জনগণনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই গণনার ফল প্রকাশ করেনি মোদী সরকার। সমাজের প্রান্তিক মানুষকে শক্তিশালী করতে গেলে এই ধরনের জনগণনার রিপোর্ট হাতে থাকা প্রয়োজন। এতে দেশের পিছিয়েপড়া মানুষের প্রতি সামাজিক ন্যায় করা হবে।