p k কে? জিকের প্রশ্ন থাকলে বাংলার মানুষ (বিশেষত রাজনীতি সচেতন) নির্দ্বিধায় প্রশান্ত কিশোরের নামটাই যে বলবেন, তাতে সন্দেহ থাকার কথা নয়৷ কারণ, ‘প্রায় হারাতে বসা মসনদ’ ফিরিয়ে ১০ বছরের শাসক তৃণমূলকে একুশের তখতে অক্ষুন্ন রাখতে পিকে-র অবদান যে অনস্বীকার্য, তা অকপটে মানেন সবপক্ষই৷ এহেন ‘ভোটগুরু’কে এবার দেখা যাবে বাংলার ভোটার লাইনেও!
নাহ্, হেঁয়ালি নয়৷ কলম ঠুকেই লিখছি, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনে সেন্ট হেলেন স্কুলের রুম নম্বর-এক এর ভোটার লাইনে দেখা মিলবে এই ভিভিআইপি ভোটারের৷ কমিশন সূত্রের খবর, শ্রীকান্ত পাণ্ডের সন্তান এখন থেকে বাংলার ভোটার৷
বিহারের রথাসের এই বাসিন্দা এখন থেকে পশ্চিম বাংলার ভোটার৷ ৩০ সেপ্টেম্বর হতে চলা উপ নির্বাচনে বাংলার হটস্পট ভবানীপুরেরই ভোটার তিনি৷ কমিশনের নথি অনুযায়ী, এখন থেকে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার ভবানীপুর বিধানসভার ২১বি, রানি শঙ্করি লেন, কলকাতা-২৫ এর স্থায়ী বাসিন্দা প্রশান্ত কিশোর৷ এপিক নম্বর IUI0686683 (part no 222, serial no 950)৷
আচমকা বাংলার ভোটার হলেন কেন? কবেই বা করলেন আবেদন? কমিশন সূত্রের খবর: ভোটার তালিকা সংশোধনের দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী৷ ওই প্রক্রিয়া চলেছিল ৭ এপ্রিল পর্যন্ত৷ ওই সময়ের মধ্যেই চুপিসারে বাংলার ভোটার হয়েছিলেন পি কে৷
তৃণমূলের অন্দরের খবর: একুশের জয়ের পর পি কে-র ওপর আরও বেশি করে আস্থাশীল হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারই জেরে আগামীদিনে তাঁকে বাংলার রাজনীতিতে শাসক তৃণমূলের চালিকাশক্তিতেও (শীর্ষ পদে) দেখা যেতে পারে৷ বিহার থেকে বাংলার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম সংযোজন সেই ভাবনারই প্রাথমিক ফসল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা৷