সোমবার থেকে স্বাভাবিক জীবন ফিরবে কাশ্মীরে৷ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে কার্ফু৷ শুক্রবার প্রশাসনের ঘোষণা, সোমবার থেকেই উপত্যকায় খুলে যাবে স্কুল কলেজ, অফিস৷ সরকারি বিভিন্ন অফিসও খোলা হবে সেদিন৷ শুক্রবারের নমাজের পর এই ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন৷
মোদী সরকার জানিয়ে ছিল খুব দ্রুত কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে৷ সেই লক্ষ্যে একাধিক মন্ত্রীও কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন৷ গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং৷ তারপরেই থমথমে কাশ্মীরকে স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
টাইমস নাওয়ের এক সূত্র বলছে শনিবার থেকে টেলিফোন সংযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে৷ ফিরে আসবে মোবাইল পরিষেবাও৷ এই মর্মে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক৷ এই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতরে৷
পাঁচই অগাষ্ট জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকেই সতর্ক হয়ে যায় কেন্দ্র সরকার৷ জানানো হয় এর জেরে উপত্যকার পরিস্থিতি অশান্ত হতে পারে৷ পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য কার্ফু জারি হয় কাশ্মীরে৷
এদিকে, শুক্রবারও ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে খতম হয়েছে এক পাক জওয়ান৷ বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় সীমান্ত সংলগ্ন একাধিক ঘাঁটিতে শেলিং শুরু করে পাকিস্তান সেনা। খোলা হাতে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সীমান্ত সংলগ্ন একাধিক পাক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত করে ভারী অস্ত্রে সাহায্যে চলে শেলিং।
জানা যায়, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে একাধিক পাক সেনা ঘাঁটি। তিন পাকিস্তান সেনাও এই হামলায় খতম হয়েছে বলে ভারতীয় সেনার তরফে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত। উরি-রাজৌরি এবং কেজি সেক্টরে চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক শেলিং।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হলেও, নিরাপত্তা বাহিনী একই ভাবে মোতায়েন থাকবে কাশ্মীরে৷ নিরাপত্তা ও তল্লাশির কড়াকড়িও রাখা হবে৷ চলবে নাকা চেকিং৷ এই বিষয়ে টানা ঘোষণা করা হয় বেতারে৷