মাওলানা ভাসানী নামটা এখন এপার বাংলায় অপরিচিত হলেও আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে নিয়মিত খবরের কাগজের শিরোনামে দেখা যেত।
মাওলানা ভাসানী মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারত সরকার পার্ক সার্কাসে ওঁর জন্য একটি বিলাসবহুল বাসস্থান এবং আহারাদির ব্যবস্থা করেন। সেই সময় ওনার জন্য মাসিক দুই হাজার টাকার ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যখন একজন সরকারি কর্মচারীর গড় আয় ছিল তিন চারশো টাকার মতো। ভারত সরকার চিকিৎসার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করেছিল। এমনকি সেই সময় ভারতের নাগরিকত্ব ও জমি দেওয়ার দাবি করে কাকুতি মিনতি করে ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন।
” গত ৭ মাস শহরে প্যালেসেস সার্কিট হাউস বাস-আহারাদি বিলাসপূর্ণ। আমার মৃত্যুকাল পর্যন্ত যাহাতে বাল্যজীবনের আদর্শ বহাল থাকে তাহারই জন্য ৫ একর জমি ও সাধারণ ধরনের ৪ খানা ঘরের ব্যবস্থা করিয়া দিবেন। আমার প্রথম পুত্রের মৃত্যু হয় ধুবড়ীর গ্রামে। তাই আমার বৃদ্ধা স্ত্রীর আশা তাহার শেষ দাফন ধুবড়ীর কোন গ্রামে হয়। ”।
কিন্তু এই ভাসানীই স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে সবার আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপসারণ দাবি করেন। এর আরো এক কীর্তি ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের বিরোধিতা করা। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ,আসাম ও ত্রিপুরা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে গ্রেটার বাংলাদেশ গঠন এর স্বপ্ন ছিল। তার স্লোগান ছিল। “বাংলা আমার, আসাম আমার ত্রিপুরা আমার।”
পিনাকী পাল