নতুন এফডিআই সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, কৃষক আন্দোলনে বিদেশিদের সমর্থন সম্পর্কে বললেন মোদী

এফডিআই মানে ফরেন ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট নয়। এফডিআই মানে ফরেন ডেসট্রাকটিভ ইডিওলজি। সোমবার রাজ্যসভায় এফডিআই-এর নতুন ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে মার্কিন পপ তারকা রেহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ থেকে শুরু করে অনেক বিদেশি সেলিব্রিটি মুখ খুলেছেন। ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ’ বলে তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে নানা মহলে। এবার কৃষক আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সমর্থনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মোদী।

তিনি এদিন সংসদে বলেন, বিদেশি ধ্বংসাত্মক মতাদর্শ সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কৃষক নেতাদের ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ শিখদের নিয়ে গর্বিত। তাঁরা দেশের জন্য সবকিছুই করেছেন।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, একধরনের লোক সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা হল ‘আন্দোলনজীবী’।

এদিন রাজ্যসভায় কৃষি আইনগুলি জোরালো ভাষায় সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, কংগ্রেসও একসময় কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছিল। এখন সুযোগ বুঝে তারা পাল্টি খেয়েছে। একথা প্রমাণ করার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেন মোদী। কৃষকদের প্রতি তিনি ফের আহ্বান জানান, তাঁরা যেন আন্দোলন শেষ করেন। সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসেন।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আমরা আলোচনার জন্য তৈরি। আমি আপনাদের এখানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি আইন কার্যকরী হলে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া যাবে না। মোদী এদিন বলেন, “এমএসপি থা, এমএসপি হ্যায় আউর এমএসপি রহেগা। কেউ যেন ভুল খবর না রটান।” পরে তিনি বলেন, “আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে। পিছিয়ে গেলে চলবে না। কৃষিতে সংস্কার করে দেখতে হবে কী ফল হয়?”

মোদীর বক্তব্য, বিরোধীরা কৃষক আন্দোলন নিয়ে অনেক কথা বলছেন, কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চুপ করে আছেন। তিনি নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের পরে প্রান্তিক চাষির সংখ্যা ৫১ শতাংশ থেকে ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তাঁর কথায়, “দেশের ৮৬ শতাংশ চাষির জমির পরিমাণ দুই হেক্টরের কম। তার মানে ১২ কোটি চাষি প্রান্তিক অবস্থানে আছেন। এই চাষিদের প্রতি কি দেশের কোনও দায়িত্ব নেই?”

কেন্দ্রীয় সরকার প্রান্তিক চাষিদের জন্য কী প্রকল্প নিয়েছে তা তুলে ধরেন মোদী। পরে তিনি বলেন, প্রত্যেক সরকারই কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছে। কিন্তু এখন তারা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা সরকারের সমালোচনা করছেন করুন। কিন্তু সেই সঙ্গে চাষিদের বুঝিয়ে বলুন, কৃষিক্ষেত্রে কী সংস্কার করলে তাঁদের ভাল হতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.