ভূদেব মুখোপাধ্যায় থেকে সাভারকর প্রত্যেকেই হিন্দির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন,কারণ এই ভাষার মাধ্যমে মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল,আমরা ভালোমতো হিন্দি জানলে প্রতিটি রাজ্যের মানুষের মধ্যে নিজেদের ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে পারব।
ধরুন,পাঞ্জাব গেলেন।ভুলভাল হিন্দি বলেও যদি বলেন,”আপ মহান হো”,ওরা বুঝে যাবে আপনি বলতে চেয়েছেন তুসি গ্রেট হো।
ভারতবোধ জাগ্রত করবার সহায়ক বলে ভূদেব মুখোপাধ্যায় হিন্দি প্রচারের সমর্থন করেছেন।তিনি বলেছেন,”…………ভারতবাসীর চলিত ভাষাগুলির মধ্যে হিন্দী-হিন্দুস্থানীই প্রধান এবং মুসলমানদিগের কল্যাণে উহা সমস্ত মহাদেশব্যাপক।অতএব অনুমান করা যাইতে পারে যে,উহাকে অবলম্বন করিয়াই কোন দূরবর্তী ভবিষ্যকালে সমস্ত ভারতবর্ষের ভাষা সম্মিলিত থাকিবে।……..ভারতবর্ষের অধিকাংশ লোকেই হিন্দী ভাষায় কথোপকথন করিতে সমর্থ। অতএব শুদ্ধ ভারতবাসীর বৈঠকে ইংরাজির ব্যবহার না করিয়া হিন্দীতে কথোপকথন করাই ভাল।”
তাই হিন্দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নিজের জাতিসত্ত্বার স্বার্থে। বাঙালি হিন্দুর প্রধান ভাষা বাংলা,অবশ্যই বাংলা ভাষা মানেই বাঙালি নয়।সকালে পানি দিয়ে গোসল করে দুপুরে দাওয়াতে গেলাম অবশ্যই বাংলা ভাষা নয়।কিন্তু তারাও হিন্দি জানে,সহজেই উর্দু ভাষীদের সাথে মিলেমিশে সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময় করে।
আর আমরা?
হিন্দিতে কথা বলা যাবেনা,হিন্দিতে কথা বলতে হবে?এইসব বালখিল্য আদিখ্যেতা করে বেড়াচ্ছি।অবশ্যই বাংলায় বাংলার প্রধান্য থাকবে,কিন্তু সেটা ছড়িয়ে দিতে গেলে আগে নিজের বাঙালিয়ত্বকে রক্ষা করতে হবে,ধারণ করতে হবে,বহন করতে হবে।আর যদি লড়াই করে অর্জন করতে হয়,চলুন রাস্তায় নামি,প্ল্যাকার্ড হাতে হরতাল করি,মিছিল করি,আপিল করি কারণ বাঙালি হিন্দু চায় বাংলার গুরুত্ব।তখন দেখবেন প্রচুর অ বাঙালি আপনাকে সাপোর্ট করছে,কারণ বংশপরম্পরায় প্রচুর সাউ,প্রসাদ, তিওয়ারি নিজেকে বাঙালি ভাবে,অবাঙালি নয়।
আর বিদ্বেষ যত ছড়াবেন,এই অংশটাও সরে যাবে।তখন শুধু পড়ে থাকবে হাম অউর হামারা তনহাই।
✍️ সন্দীপ।