রাত পোহালেই ভোট। প্রথম দফায় প্রার্থীদের ভাগ্যপরীক্ষা হবে ৩০ টি আসনে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন কার্যত আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে জায়গাগুলি মুড়ে ফেলেছে। শুধু এই ৩০টি কেন্দ্রের বুথেই থাকছে ৬৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কোথায় কত আধাসেনা
পাঁচটি জেলায় গুরুত্ব অনুসারে, পঞ্চায়েত ভোট থেকে শিক্ষা নিয়েই আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফার ভোটে বাঁকুড়াতে থাকছে ৮৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঝাড়গ্রামে থাকবে ১৪৪কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । পশ্চিম মেদিনীপুরে থাকবে ১২৪ কোম্পানি । পূর্ব মেদিনীপুরে থাকবে ১৪৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আর পুরুলিয়াতে থাকবে ১৮৫ কোম্পানি।
বুথ ম্যানেজমেন্ট
প্রতিটি বুথ ম্যানেজের জন্য আগে ভাগেই পরিকল্পনা সেরে রেখেছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনের সময় প্রত্যেকটি বুথে আধ সেনা মোতায়েন আগে দেখে নিয়েছে এলাকায় বুথের সংখ্যা। একটিই বুথ রয়েছে এমন কেন্দ্রে বুথে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও একজন করে রাজ্য পুলিশের লাঠিধারী পুলিশ থাকবে।
অন্য দিকে যেখানে এক কেন্দ্রে দুটি করে বুথ রয়েছে সেখানে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও একজন করে লাঠিধারী পুলিশ রাখা হচ্ছে।অন্য দিকে মাওবাদী কার্যকলাপ অতীতে ছিল এমন অঞ্চলগুলিতে প্রত্যেকটি বুথে থাকছে আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও একজন করে রাজ্য পুলিশের লাঠিধারী পুলিশ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে আগে জানানো হয়েছিল প্রথম দফার নির্বাচনের ক্ষেত্রে মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার হতে চলেছে ৭৩০ কোম্পানি। যার মধ্যে ভোটের কাজে ব্যবহার হবে ৬৫৯ কোম্পানি বাহিনী। বাকি ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কুইক রেসপন্স টিম, রুট মার্চ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহার করা হবে।
সূত্র মারফত জানা গিয়ছে, বুথের বাইরে ১০০ মিটার অঞ্চলে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রতিটি বুথে ভোটারদের লাইন দেখাশোনার জন্য একজন করে লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ থাকবে। ওই ১০০ মিটার গন্ডির ভিডিওগ্রাফি করা হবে কমিশনের পক্ষ থেকে। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে তৃতীয় দফার নির্বাচনের পর অসম থেকে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসতে চলেছে।