সেই লকডাউনের আগে বন্ধ হয়েছিল সংসদ (Parliament)। করোনার জেরে তারপর আর অধিবেশনের কথা ভাবাও যায়নি। সরকারের যাবতীয় কাজকর্ম চলছে ভারচুয়ালি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকগুলিও হয়েছে অনলাইনেই। কিন্তু এবার আর ভারচুয়াল নয়, অ্যাকচুয়াল সংসদ খুলতে চায় কেন্দ্র। করোনার আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে সংসদের দুই কক্ষের শীতকালীন অধিবেশন (Monsoon Session)। এবং সেজন্য নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ব্যবস্থা। যা এককথায় বেনজির।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
দুই কক্ষের অধিবেশনেই সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। সাংসদদের বসার ব্যবস্থা হবে দূরত্ববিধি মেনে। বসার জন্য দুই কক্ষের চেম্বারের পাশাপাশি ব্যবহৃত হবে গ্যালারিও।
শক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন দলের সাংসদদের চেম্বার এবং গ্যালারিতে দূরত্ববিধি মেনে বসানো হবে।
সংসদের চেম্বারে বসানো হবে চারটি বড় ডিসপ্লে স্ক্রিন। আরও ৬টি স্ক্রিন বসবে গ্যালারিতে। অর্থাৎ মোট ১০টি স্ক্রিন বসানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যসভা এবং লোকসভা অধিবেশন একসঙ্গে হবে না। আলাদা আলাদা সময়ে মাত্র ৪ ঘণ্টা করে দুই অধিবেশন বসানো হবে। প্রথমে বসবে লোকসভা অধিবেশন। তারপর বসবে রাজ্যসভা অধিবেশন।
প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিরোধী নেতাদের জন্য নির্দিষ্ট আসব চেম্বারে বরাদ্দ থাকবে।
এসির মাধ্যমে অতি বেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে ভাইরাস দমনের চেষ্টা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আধকারিকদের গ্যালারি আর সাংবাদিকদের গ্যালারিতেও সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। চেম্বার থেকে আধিকারিকদের গ্যালারি আলাদা করার জন্য পলিকার্বনেট শিট ব্যবহার করা হতে পারে।
লোকসভায় ১৫ এবং রাজ্যসভায় সর্বোচ্চ ৭ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে, সাংবাদিকদের সেন্ট্রাল হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকী প্রাক্তন সাংসদরাও অনুমতি পাবেন না সেন্ট্রাল হলে ঢোকার।
উল্লেখ্য, মার্চের ২৩ তারিখ সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ হয়েছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বরের আগেই শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। সেইমতোই প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। যদিও এই পরিস্থিতিতে সশরীরে সংসদের অধিবেশনে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তাঁরা ভারচুয়াল অধিবেশনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র চাইছে এই নিয়মগুলি মেনে সংসদ কক্ষেই শুরু হোক অধিবেশন।