দেশের দৈনিক সংক্রমণ শনিবার পার করেছিল ৪ লক্ষের গণ্ডি। রবিবার তা একটু কমেছে। রবিবার দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৪৮৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৫৭ জন। দৈনিক আক্রান্ত ৪ লক্ষের নীচে নামলেও দৈনিক মৃত্যু রবিবারও সাড়ে তিন হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা দেশে প্রাণ কেড়েছে ৩ হাজার ৬৮৯ জনের। দেশে করোনার জেরে এখনও অবধি মৃত্যু হল ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৫৪২ জনের।
প্রথমের মতোই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন মহারাষ্ট্রে। শনিবারের মতো রবিবারও আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজারের বেশি। তবে কর্নাটক এবং কেরলে রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা শনিবারের তুলনায় একটু কমেছে। কর্নাটক এবং কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪০ হাজার ৯৯০ এবং ৩৫ হাজার ৬৩৬। উত্তরপ্রদেশেও গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ১৮০ জন। দিল্লিতে ২৫ হাজার ২১৯ জন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা। এই রাজ্যেগুলিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে।
ভারতে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ
এই বিপুল সংখ্যক লোক রোজ আক্রান্ত হওয়ায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৪৪ জন। বিপুল পরিমাণ সক্রিয় রোগী দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে শয্যার আকাল পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনার সাক্ষীও গত কয়েকদিনে থেকেছে দেশ। বিদেশ থেকে অক্সিজেন এনে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টাও চালাচ্ছে প্রশাসন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে চলছে টিকাকরণ। শনিবার থেকে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরাও টিকা পাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮ লক্ষের বেশি। এ নিয়ে দেশে মোট টিকার ডোজ দেওয়া হল ১৫ কোটি ৬৮ লক্ষ।