একদিকে আলোচনার নাটক, অন্যদিকে সীমান্তে একের পর এক সেনা ট্রুপ মোতায়েন। দ্বিচারিতার খেলা ভালোই খেলে চলেছে চিন। ব্রিগেড কমান্ডার স্তরের বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ার পরে ফের একটা বৈঠকের আয়োজন করতে চাইছে ভারত। নয়াদিল্লির বক্তব্য আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। কিন্তু সেপথে হাঁটতে রাজি নয় বেজিং।
এদিকে রিপোর্ট বলছে সাঁজোয়া, অতিরিক্ত সেনা সীমান্তে মজুত করছে চিন। পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে স্পানগর গ্যাপে মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনার শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে চিনা সেনা চলে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে ভারতীয় সেনায় জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। চিনা উসকানিতে কোনওভাবেই যেন ভারত পা না দেয়, সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
অগাষ্ট মাসের ৩০ তারিখ থেকে গুরুং হিল ও মাগার হিলের মধ্যবর্তী স্পানগর গ্যাপে অবৈধভাবে সেনা মোতায়েন করেছে চিন। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে চুশুলের কাছে দখলদারি এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য। দুই দেশই শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের ওপর এখন উড়ছে ভারতীয় পতাকা। চিনা সেনাকে পুরোনো অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তবে পূর্ব লাদাখে এখনও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করেছে চিনা সেনা। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর প্যাংগং লেক এলাকায় নতুন করে সেনাছাউনি চোখে পড়েছে।
কৌশলগত দিক থেকে এই এলাকা যে দেশ প্রভাব ধরে রাখতে পারবে, তারা সামরিক দিক থেকেএ এগিয়ে থাকবে। এই বিষয়টা মাথায় রেখেই চিন স্পানগার লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ইতিমধ্যে একটি রাস্তা তৈরি করেছে চিন। যার মাধ্যমে চিনা সেনা যাতায়াত করতে সক্ষম।
তৈরি হয়েছে চিনা সেনাঘাঁটি। এই এলাকা থেকেই চিনা সেনাকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল ভারত। তবে তাতে যে তারা কর্ণপাত করেনি, তা বলাই বাহুল্য। তবে শুধু প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তই নয়, স্পানগার গ্যাপ এলাকাও দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই এলাকা সেনা মুভমেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।