বুধবারই ব্যাঙ্কগুলির শোচনীয় হাল নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দাবি করলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে যে ঋণ শোধ করা হয়নি, তার বেশিরভাগ নেওয়া হয়েছিল ইউপিএ সরকারের আমলে। একইসঙ্গে ব্যাঙ্কের দূরবস্থার জন্য তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনকে দায়ী করেন।
কিছুদিন আগে রঘুরাম রাজন বলেছিলেন, বিভিন্ন তথ্য দেখে ভারতের অর্থনীতির অবস্থা যত খারাপ মনে হচ্ছে, বাস্তবে অর্থনীতির হাল তার থেকেও বেশি খারাপ। এদিন তারই জবাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি রাজন জানেন তাঁর কথার কী অর্থ হয়। তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েই বলছি, মনমোহন সিং ও রঘুরাম রাজনের সময় ভারতের ব্যাঙ্কগুলির হাল যত খারাপ হয়েছিল, এখন তার থেকে ভালো হয়েছে। যদিও মনমোহন সিং-এর আমলে ব্যাঙ্কগুলির হাল সম্পর্কে কেউ কিছু জানত না। এদিন নিউ ইয়র্কে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে ভাষণ দেন অর্থমন্ত্রী।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে।
ভারতের অর্থনীতির মন্দ গতির জন্য এখন নানা মহল থেকে সমালোচিত হচ্ছেন সীতারমন। বাজার চাঙ্গা করার জন্য তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে করছাড় দেন। মনমোহন সিং ও রঘুরাম রাজন আগে বেশ কয়েকবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনা করেছেন।
নির্মলা এদিন তার জবাবে বলেন, স্কলার হিসাবে রঘুরাম রাজনকে আমি সম্মান করি। তিনি এমন সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষপদে বসেছিলেন যখন অর্থনীতি ছিল চাঙ্গা। এরপর রাজনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি গভর্নর থাকাকালীন একটা ফোনেই সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা ঋণ পেত। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির হাল খারাপ হয়েছে। এখন সরকার টাকা দিলে তবেই তারা রক্ষা পাবে।