নববর্ষ ১৪২৯ | স্বাগত নতুন বছর | হিন্দুমতে সূর্যোদয় হলে তবেই নতুন দিন হয়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে সকলের এই নতুন বছর ভীষন ভালো কাটুক আর এই পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছার সাথে মিশে থাকুক আমাদের পূতপবিত্র মঙ্গলঘট,রবিঠাকুরের গান আর অবশ্যই গুপ্তবংশীয় সামন্ত রাজা বীর শশাঙ্ক,যিনি তার শাসনকালকে স্মরনীয় করে রাখতে ষষ্ঠ শতকের একেবারে শেষের দিকে ৫৯৪ খ্রীষ্টাব্দে সৌর বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী পত্তন করেন বঙ্গাব্দের |
অথচ গত কয়েক বছর ধরে আমরা শুনে আসছি যে বঙ্গাব্দের প্রবর্তন করেছিলেন নাকি মুঘল সম্রাট লুটেরা আকবর যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বাম জামাতি প্রোপাগান্ডার ফসল | আকবর তার শাসনকালে খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তারিখ-ই-ইলাহি নামের একটি বর্ষপঞ্জী শুরু করেছিলেন যার সাথে বঙ্গাব্দের কোন সম্পর্ক নেই | স্বাধীনতার পর থেকেই জামাতি ও আরবী ফান্ডেড বামপন্হী ইতিহাসবিদরা তাদের আখের গোছানোর স্বার্থে,বৃহত্তর সুবে বাংলা গঠনের স্বার্থে কখনও আকবর,কখনও হুসেন শাহ আবার কখনও বা মুর্শিদকুলি খাঁ কে বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হিসেবে তুলে ধরেছেন ,যার কোনটাই সত্যি নয় | ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ও পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পর বাংলা ভাষার আরবীকরনের প্রক্রিয়া যত ত্বরান্বিত হতে থাকে,ততই কোনঠাসা হয়ে পড়ে বাঙালীর জাতিসত্তা ও আপন অস্তিত্ব |
সুতরাং এই চরম সময়ে আমরা যদি নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে চাই তাহলে আমাদের ফিরে যেতে হবে একদম শিকড়ের গভীরে | নিজেদের সত্যিকারের বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে হলে সনাতনী ভাবধারার সাথে একাত্ম হতে হবে আর বর্জন করতে হবে কিছু ধান্দাবাজ ভারতবিরোধি লবির মিথ্যা ইতিহাস আর অবশ্যই বাংলা ভাষার আরবীকরন |
সবসময় মনে রাখবেন বঙ্গাব্দ কোন লুটেরা ভিনদেশী আকবরের বানানো নয়, এই বঙ্গাব্দ বানানো ভারতীয় রাজা শশাঙ্কের।
(তোষনমুলক মিথ্যা বাম ও জামাতি ইতিহাস বর্জন করুন)
পহেলা নয় #পয়লা_বৈশাখ বলুন পহেলা কথাটি উর্দু |
পেঁচারমুখোশ নয়, #মঙ্গলঘট স্থাপন করুন |
আজিবাজিগাজির_গজল নয়, #রবীন্দ্রসংগীত শুনুন |
|| জয় বঙ্গ,জয় শশাঙ্ক ||
“অভিষেক”