১। কাল শনিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ জন বিচারপতির বেঞ্চ।
২। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আবদুল নাজির। চল্লিশ দিন শুনানির পর গত ১৬ অক্টোবর রায় দান স্থগিত রেখেছিলেন তাঁরা।
৩। রায় ঘোষণার আগে গতকাল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রায় চোদ্দ হাজার অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী গোটা উত্তরপ্রদেশে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
৪। উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একই রকমের নির্দেশ জারি হয়েছে দিল্লি, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশেও। পশ্চিমবঙ্গেও সব থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
৫। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ পাঁচ জন বিচারপতির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। লখনউ ও অযোধ্যায় দুটি হেলিকপ্টারও রাখা হয়েছে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য।
৬। অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির দাবি নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাবি-পাল্টা দাবির নতুন করে সূত্রপাত ঘটে আশির দশকে। হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলি দাবি করেন, ভগবানের জন্ম হয়েছিল ওই পবিত্র ভূমিতে। মুসলিমদের বক্তব্য ছিল, এর কোনও প্রমাণ নেই।
৭। ১৯৯২ সালে হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের আন্দোলনকারীরা বাবরি মসজিদ ভেঙে দেন। গোটা দেশ জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
৮। পরে আদালতে মামলা হয়। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ খণ্ডপীঠ বিতর্কিত জমিকে তিন খণ্ডে ভাগ করার রায় দেয়। বলা হয়, একটি খণ্ড পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, আর একটি নির্মোহী আখাড়া এবং তৃতীয় খণ্ড পাবেন রামলালা বিরাজমান।
৯। আজ অযোধ্যা মামলার রায়ের পর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সরকার, বিজেপি ও আরএসএসের শীর্ষ নেতারা সবাইকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
১০। আরএসএসের তরফে সবকটি হিন্দু সংগঠনকে বলা হয়েছে, রায় যাই হোক তা নিয়ে কোনও উত্তেজনা, উৎসাহ প্রকাশ করা যাবে না। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ব্যতিরেকে কেউ কোনও প্রতিক্রিয়াও যেন সংবাদমাধ্যমে না দেন।