কাজিপাড়ায় মতুয়াদের উপর হামলা! তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে ইট, মহিলাদের কটূক্তি-মারধর

খাস বাংলায় তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। মতুয়া মেলায় যোগ দিতে গড়িয়া থেকে বাস ভাড়া করে ঠাকুরনগরে যাচ্ছিলেন মতুয়ারা। বারাসতের কাজিপাড়ায় বাস থামিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ সমগ্র মতুয়া সমাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ‘মতুয়ারা বুঝে নেবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

জানা গেছে, ২৯ মার্চ রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া নরেন্দ্রপুর থেকে বাসে করে ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মতুয়ারা। রাত দেড়টা নাগাদ কাজিপাড়া এলাকায় কিছু যুবক রাস্তার পাশে থাকা গাছের গুঁড়ি ফেলে তাঁদের বাস আটকায়। তারপর তারা বাসে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে এবং বাইরে থেকে বাসে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে।

ঘটনার প্রতিবাদ করেন সুমন হালদার ও দলপতি বিধান হালদার। তখনই তাঁদের বাস থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করে ওই যুবকরা। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা। এই প্রসঙ্গে বিধান হালদার বলেন, ‘একদল যুবক আমাদের বাসের মহিলাদের নিয়ে গালিগালাজ করে। তারপরেও বাস থেকে কেউ না নামায় ওরা ইট ছোড়ে। বাসের কম-বেশি সকলেই আহত হয়েছেন। দলপতি নেমে প্রতিবাদ করলে তাঁর জামা-কাপড় ছিড়ে, মোবাইল কেড়ে, টাকা নিয়ে মারধর করে। আমার কাকাকে দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে সাত-আট জন মিলে মারধর করে। ইট দিয়ে মাথায় থেঁতলে দিয়ে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে দেয়’।

এরপর ওই বাসের যাত্রীরাই রক্তাক্ত সুমন হালদার ও দলপতিকে উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দলপতিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সুমন হালদারকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তিরত করা হয়। বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সুমন। এরপরই মতুয়া দলের পক্ষ থেকে বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.