ভোর রাত থেকেই পার্কিং জোন দখলকে কেন্দ্র করে মালদহে ইংরেজবাজার থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বদ্ধ অব্যহত রয়েছে। আর এই পার্কিং জোন দখল নিয়ে অভিযোগের তির উঠেছে, শাসকদলের আশ্রয়ে থাকা দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর মধ্যে। যার জেরে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে, ইংরেজবাজার থানার এলাকার ভারত বাংলাদেশ সড়ক সীমান্ত ব্যানিজ্য কেন্দ্র। এদিন সকাল থেকেই চলে বোমা ও গুলির লড়াই। এই ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে এখনও থমথমে রয়েছে ওই এলাকা।
সূত্রের খবর, মালদহ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর মহদীপুর। প্রতিদিন এখানে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। এখানে টাকা উড়ে বেড়ায়। একদিকে যেমন বাণিজ্য হয়। তেমনি পাল্লা দিয়ে চলে তোলাবাজি। এলাকায় রয়েছে প্রচুর বেআইনি পার্কিং। আর এই বেআইনি পার্কিং’এ দাঁড়িয়ে থাকা লরি থেকেই চলে লক্ষ লক্ষ টাকার তোলাবাজি। আর এই তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই চলে সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই এলাকায় এই পার্কিং জোনের তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়। অভিযোগের তির উঠে এলাকার দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে এই ঘটনায়, একদিকে রয়েছে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা ঘোষ বর্মনের স্বামী প্রসূন ঘোষ। এবং ওই এলাকা থেকে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য প্রতিভা সিংহ ও তার অনুগামীরা। অপরদিকে রয়েছে ওই এলাকারই আরেক তৃণমূল নেতা তথা রপ্তানিকারক সমীর ঘোষ। আর এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জেরে ব্যাহত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিজেপির মালদহ জেলার সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলির অভিযোগ, তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে সরকারি রাজস্বের। ব্যাহত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। অবিলম্বে পুলিশ এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে এই গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ স্বীকার করে নেন ইংরেজবাজারের তৃণমূল বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, এই বিষয়ে দল যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।