আসাম ও মিজোরামের সীমান্ত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। দুই রাজ্যের প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে বৈঠক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিশ্রুতির পরেও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। গত বৃহস্পতিবার নামনি আসামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয় লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে মিজো দুষ্কৃতীরা। তাদের ছোড়া বোমার বিস্ফোরণে উড়ে যায় স্কুলটি। ওই স্কুলটিতে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশুনো হতো। প্রসঙ্গত, বিদ্যালয়টি চেওরাতল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খুলিচরা গ্রামে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরেই ওই গ্রামে মিজো দুষ্কৃতীদের তান্ডব চলে আসছে ওই গ্রামে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পাশাপাশি স্থানীয় বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে এই ঘটনা ঘিরে। কারণ ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি আসামের পুলিস। তবে বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা শোনামাত্রেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসামের শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি টুইট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই বিষয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রশাসনের তরফে কোনো বক্তব্য আসেনি।
মিজোরাম ও আসামের সীমান্ত বিবাদ দীর্ঘদিনের। মিজোরামের খ্রিস্টান উগ্রপন্থীরা আসামের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করে। বাড়িতে চুরি, ডাকাতি এবং গৃহপালিত গরু, ছাগল জোর করে কেড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আকছার ঘটে। কয়েকদিন আগেই লইলাপুরে আসামের বহু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল মিজো দুষ্কৃতীরা। সব থেকে আশ্চর্যের এই যে, পুরো ঘটনায় মদত ছিল মিজোরামের পুলিশের।