অসমে পাঁচ লক্ষেরও বেশি বাংলাদেশি উদ্বাস্তুর চূড়ান্ত দফার জাতীয় নাগরকিপঞ্জিতে নাম ওঠেনি৷ তবে তাঁরাও নাগরিকত্বের দাবি জানানোর সুযোগ পাবেন৷ বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে গেলে এবং একটি আইন তৈরি হয়ে গেলে এই সুযোগ মিলবে৷
অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথায়, ‘ওই বাসিন্দাদের প্রথমে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়ে আবেদন করতে হবে৷ তারপর তাঁদের আবেদনপত্র যাচাই করে দেখা হবে৷ তারপর চূড়ান্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ আমরা আশাবাদী ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে’৷
এছাড়াও অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা থেকে ৭ লক্ষ মুসলিম-সহ আরও ১৩ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছিল৷ তাঁদের ক্ষেত্রেও নতুন করে আবেদন জানানোর সুযোগ থাকছে৷ তবে সেক্ষেত্রে তাঁদেরও নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল রাজ্যের ৩৪টি জেলার নয়টি জেলায় বসবাসকারী প্রায় দুই লক্ষ বাঙালি হিন্দুর একটি তালিকা তৈরি করেছেন৷ যাঁরা নাগরিকত্বের যোগ্য বলে তাঁর দাবি৷
অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘৫,০৪৮০০ বাঙালি হিন্দু এনআরসি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ সংশোধিত আইনের অধীনে নাগরিকত্বের জন্য তিন থেকে চার লক্ষ মানুষ ফের আবেদন করবেন। ‘প্রায় এক লক্ষ মানুষ (বাঙালি হিন্দু) যাঁরা এনআরসির জন্য আবেদন করেননি, তাঁদের ও এই পরিসংখ্যান একসঙ্গে নিলে, আমি মনে করি না যে এর মধ্যে পাঁচ লক্ষের বেশি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন’৷ তিনি আরও বলেন, ‘কামরূপ (মেট্রো) এবং হোজাই জেলাগুলিতে প্রায় ৬০ হাজার ‘যোগ্য’ বাঙালি হিন্দু রয়েছেন, যা অসমের সমস্ত জেলার মধ্যে সর্বাধিক। হোজাইয়ে এনআরসি থেকে ৬০ হাজার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের নাম বাদ পড়েছে৷’
অসমের চড়াইদেও, ডিমা হাসাও, হামরেন এবং মাজুলি জেলায় কোনও মুসলিমকে এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। চড়াইদেও জেলায় ২ হাজার বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তু, ডিমা হাসাও জেলায় ১ হাজার ও হামরেন জেলায় এক হাজার এবং মাজুলি জেলায় ৩০০ বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তু রয়েছেন। আরএসএসের দুর্গ বলে পরিচিত নলবাড়িতে প্রায় ১ হাজার বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর বাস।