বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আবার সরব হলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন বেআইনি ভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশীরা তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়াতে বাড়াতে এমন অবস্থা করেছে যে দুই তিন দশকের মধ্যে তাদের প্রতিনিধি রাজনীতির চালকের আসনে বসবে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে গেছে যে আসামের বহু বিধাসভা অঞ্চলে তারা ক্ষমতা এখন সংখ্যাগুরু, সুতরাং ভোটের ফলাফল নির্ণয়ের তুরুপের তাস তারাই।
“২০৫০ সালে ওরাই আসামের ক্ষমতা দখলের দুরভিসন্ধি করছে, শর্মা বলেন।
সম্প্রতি দরঙ জেলার গরুখুটি এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের হঠাবার সময় তারা পুলিশকে আক্রমণ করে।
“তারা ক্রমশ জাল বিস্তার করছে এবং লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনগুলোতে নিজেদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিভিন্ন রিপোর্ট দেখে আমি নিশ্চিত যে ওরা ব্লুপ্রিন্ট নিয়ে ভালোভাবেই এগোচ্ছে,” শর্মা মিডিয়ার সাথে বার্তালাপ বলেন।
ইন্টেলিজেন্সের খবর অনুযায়ী এই বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা সিপাঝার, বড়খোলা এবং লামডিং বিধানসভা অঞ্চলের জন বিন্যাস বদলে ফেলেছে।
শর্মা বলে বাতাদরবা, বারক্ষেত্র এবং মঙ্গলদৈ অঞ্চলে এদের ভোটে কংগ্রেস আসনগুলোতে জিতেছে।
তিনি আরো বলেন উৎখাত করা ১০,০০০ লোকের মধ্যে ৬,০০০ লোকের নাম এন আর সির প্রকাশিত লিস্টে নেই ।
ডেমোগ্রাফিক জিহাদ
আসামের মোট ৩ কোটি ১২ লক্ষ লোকের মধ্যে ৩৪.২২% মুসলিম। ৪% অসমীয়া মুসলিম আর বাকিরা বাংলা ভাষী মুসলিম।
মুসলিম ভোটাররা ৩০ থেকে ৩৫ আসনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। আসামের মোট বিধানসভা আসন ১২৬ টি। ওই রাজ্যের ৩৪ টি জেলার ১৯ টিতে মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাত ১২। ৬ টি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ % এর বেশি।