অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন অসমে ৬০০ টি মাদ্রাসা বন্ধ করার কথা। একই সাথে কর্ণাটকে (Karnataka) বিজেপির (Bharatiya Janata Party) একটি সভায় হিমন্ত বললেন খুব শীঘ্রই বন্ধ করা হবে অসমের বাকি মাদ্রাসাগুলি। কর্নাটকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, “বন্ধ করে দিয়েছে ৬০০টি মাদ্রাসা। বাকি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ করব।”
এরই সাথে তার অভিযোগ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা নষ্ট করার চেষ্টা করছে অসমের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে। অসমের মাদ্রাসাগুলিকে (Madrassas) সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। গৌহাটি হাইকোর্ট (Guwahati Highcourt) সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। এরপর হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় বিভিন্ন মাদ্রাসাগুলি।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি।
এমন অবস্থায় অসমের সরকার এই মাদ্রাসাগুলিকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অসম সরকারের যুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে ধর্মনিরপেক্ষ। সেই যুক্তির উপর ভিত্তি করেই সে রাজ্যের সরকার মাদ্রাসাগুলি সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করছে। যে সময় অসম সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় সেই সময় তাদের যুক্তি ছিল, সরকার এই মাদ্রাসাগুলির খরচ বহন করে।কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য সরকার আর আলাদা করে খরচ বহন করতে পারবেনা। গুয়াহাটি হাইকোর্ট অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছিল। এরপর মাদ্রাসাগুলি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, মাদ্রাসা বন্ধের কারণ হিসেবে অসম সরকার যে যুক্তি দিচ্ছে তা সংবিধান বিরোধী। এই মাদ্রাসাগুলো সম্পূর্ণ সরকারের টাকায় চলে না।