এন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল সিস্টেমের দিক দিয়ে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশে পরিণত হয়েছে। আজ ভারত মহাকাশে মহাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে দেশবাসীর সামনে আসেন এবং দেশকে খুব বড় সুখবর দিয়েছেন। দেশের বিজ্ঞানীরা মিলে এন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল সিস্টেমের পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। ৩০০ কিলোমিটার উঁচুতে আমরা ১ টি উপগ্রহ ধ্বংস এর মাধ্যমে গতকাল পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়েছে এবং একই সঙ্গে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশে পরিণত হয়েছে যা মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংস করতে সক্ষম।আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন এর কাছেই এই শক্তি আগেই ছিল কিন্তু এখন ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
একই সাথে ভারত চীনকে একটা মানসিক লিড দিয়েছে। আসলে এন্টি উপগ্রহ মিসাইল সিস্টেম, পরমাণবিক অস্ত্র কে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করতে পারে, এর অর্থ, আমরা ভেবে নিতে পারি পারমাণবিক অস্ত্রের আর কোনো ভয় ভারতের জন্য রইলো না ।
উপগ্রহের মাধ্যমেই পারমাণবিক অস্ত্র কে টার্গেটে নিয়ে যাওয়া যায়, একটি দেশ পরমাণবিক অস্ত্র উপগ্রহ থেকেই কন্ট্রোল করে। উদাহরণস্বরূপ, চীন এর সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্র তার উপগ্রহের মাধ্যমেই কন্ট্রোল করা হয়, এবং ভারতের কাছে এখন এন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল সিস্টেম আছে, এই সিস্টেমের কাজ হলো যদি ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির সৃস্টি হয় তো আমরা এই মিসাইল এর মাধ্যমে চীনের স্যাটেলাইট ধ্বংস করে পুরো কন্ট্রোল সিস্টেম উড়িয়ে দেওয়া যাবে।
ভারতে এন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল সিস্টেম থাকায় , সবচেয়ে বেশি সমস্যা চীনকে পড়তে হবে। কারণ চীন আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু যারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র উপগ্রহ থেকে কন্ট্রোল করে।পাশাপাশি পাকিস্তানও এখন পরমাণু বোমা এর হুমকি আর দিতে পারবে না। এখন আমাদের কাছে সেই শক্তি রয়েছে যা দিয়ে চীনের স্যাটেলাইটকে চাপে রাখতে পারবো। এমনিতেই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কন্ট্রোলার উপগ্রহ না থাকলে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আবর্জনা হয়ে পড়ে থাকবে।