দীর্ঘ রোগভোগের পর ২৪ অগাস্ট দিল্লির এইমস’এ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য অরুণ জেটলি। ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেতাটিরও মৃত্যুর পর সরকারি নিয়মানুযায়ী সব মন্ত্রীদের মত তাঁরও পেনশন পাওয়ার কথা ৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বামীর মৃত্যুর পর সেই পেনশন পান তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে সঙ্গীতা জেটলি তাঁর স্বামীর প্রাপ্য পেনশনের টাকা রাজ্যসভার কম বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন৷
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার একটি লিখিত চিঠিতে রাজ্যসভার বর্তমান চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে তিনি এমন অনুরোধ করেছেন, যাতে তাঁর স্বামী অরুণ জেটলির পেনশনের টাকা রাজ্যসভার দরিদ্র কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
সংসদের নিয়মানুযায়ী, কোনও মন্ত্রী যখন তাঁর দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহন করেন সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য মাসিক পেনশন হিসাবে কুড়ি হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ওই মন্ত্রী যদি সরকারি নিয়মানুযায়ী টানা পাঁচ বছরের বেশী রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে কাজে নিযুক্ত থাকেন সেক্ষেত্রে রাজ্যসভার প্রতিনিধি হিসাবে তিনি মাসিক পেনশনের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত পনেরোশো টাকা বেতন হিসাবে পেতেন।
এই ক্ষেত্রে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী ১৯৯২ সাল থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাজ্যসভার প্রতিনিধি ছিলেন। জানা গিয়েছে, বমিলিয়ে বর্তমানে অরুণ জেটলির প্রাপ্ত পেনশনের পরিমান দাঁড়াচ্ছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার কাছে যা নিতে নারাজ অরুণ জায়া।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাস থেকেই শারীরিক অসুস্থতার শিকার হন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর শরীর এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তিনি ২০১৯’এ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে না দাঁড়ানো কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তিনি লোকসভার মন্ত্রী পদ থেকেও ইস্তফা দেন। জানা গিয়েছিল অরুণ জেটলি অনেকদিন ধরেই কিডনি ও লিভারের অসুখে ভুগছিলেন। অগাস্ট মাসে তাকে ভরতি করা হয়েছিল দিল্লির এইমস মেডিকেলে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানেন জেটলি। ২০১৯ সালের ২৪ অগাস্ট মাসে চিরনিদ্রায় শায়িত হন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।