বিজেপির কলকাতা পুরসভা অভিযান ঘিরে উত্তাল মধ্য কলকাতা। গ্রেফতার করা হল অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রিমঝিম মিত্রকে। তাঁর সঙ্গেই পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চার অন্যান্য সদস্যদেরও। বিজেপি নেত্রী রিমঝিমের সঙ্গেই এদিন বিজেপির কর্মসূচিতে ছিলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র।
বিজেপি নেত্রী রিমঝিম জানিয়েছেন, বিজেপির তরফে আগে থেকেই পুলিশের কাছ থেকে সবকিছুর জন্যে অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু এরপরেও পুলিশ জল কামান ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে বলে দাবি দাবি তাঁর। একই সঙ্গে বিজেপির নেত্রীর আরও মারাত্মক অভিযোগ, তাঁদের গায়ে ছেলে পুলিশেরা হাত দেয়।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে যে, বিনা প্ররোচনাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বেছে বেছে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির।
আজ বুধবার বিজেপির পুরসভা অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নেয় কলকাতা৷
চাঁদনিচকে মিছিল আটকে দেওয়া হলে,আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোড়ার অভিযোগ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ চাঁদনিচকে ভেঙে ফেলা হয় ব্যারিকেডের একাংশ৷ রাস্তার উপর জ্বালানো হয় টায়ার৷ জল কামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ৷ এরপরেই উত্তেজিত বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘ঠান্ডা’ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ৷ পিছু হটে বিজেপির নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা৷ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ৷
উল্লেখ্য, সারা রাজ্য জুড়ে যেভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ সেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যর্থ পুরসভা গুলো এবং রাজ্য সরকার। ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এমন ভাবে চাপে রেখেছে যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলেও তা গোপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শুধু তাই নয়, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরগুলি সেভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ বিজেপির। কলকাতা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অথচ পুরসভা নিশ্চুপ। তারই প্রতিবাদে বিজেপি কলকাতা পুরসভা অভিযানের ডাক দেয়। আর সেই পুরসভা অভিযান ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে মধ্য কলকাতা।
যদিও ঘটনার প্রায় কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনীকে।