কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলার আশঙ্কা এমনিই রয়েছে। সে জন্য সব রাজ্যে মুখ্য সচিব ও ডিজি পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে অ্যাডভাইজারি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সোমবার সেনাবাহিনী জানাল, দক্ষিণ ভারতে বড় রকমের সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, স্যার ক্রিকে কয়েকটি পরিত্যক্ত নৌকো পাওয়া গিয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই নৌকো করে জঙ্গিরা এসেছে সমুদ্র পথে।
গুজরাত ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মধ্যে সরু এক ফালি সামুদ্রিক অংশ হল স্যার ক্রিক। সাউদার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন- চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে সাইনি জানিয়েছেন, “দক্ষিণ ভারতে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। কিছু পরিত্যক্ত নৌকো পাওয়া গিয়েছে স্যার ক্রিকে। সেই কারণেই আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মুম্বই সন্ত্রাসের ঘটনায় জঙ্গিরা সমুদ্র পথেই এসেছিল। ডিঙি নৌকো চেপে উপকূল রক্ষী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ঢুকে পড়েছিল দেশের বাণিজ্য নগরীতে। সেই ধরনের হামলার আশঙ্কাই করছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এই সতর্কবার্তার পরই কেরল পুলিশ গোটা রাজ্য জুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। সামনেই ওনাম উৎসব আসছে। তার আগে সমস্ত রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, সরকারি ভবন, স্কুল, কলেজ, বাজারের সামনে প্রহরা ও পুলিশি টহল বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে অগস্ট মাসেও দক্ষিণ ভারতে জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কা হয়ে ৬ জন লস্কর জঙ্গি সমুদ্র পথে তামিলনাড়ুতে ঢুকেছে বলে তাঁদের কাছে খবর রয়েছে। ওই জঙ্গিরা দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দক্ষিণ ভারতের সব রাজ্যকেই সতর্ক থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই লাগাতার গরম গরম কথা বলছে ইমরান খান প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সহ সরকারের শীর্ষ নেতারা বার বার ঘরোয়া আলোচনায় ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বলছেন, ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে উস্কানি দিচ্ছেন পাক নেতৃত্ব। সেনা কর্তারা বলছেন, পাক সরকারের মদত ও প্ররোচনাতেই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়ছে। তবে তা প্রতিহত করতে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদাই সতর্ক রয়েছে।