লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ এ বিজেপির হাতে বিপর্যস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার দিল্লীতে কংগ্রেসের সমীক্ষা বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উত্তর প্রদেশে দলের হারের বিশ্লেষণে আসা কংগ্রেসের নেতারা একে অপরের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু করে দেয়। এরকম অনুশাসনহীন কাজের পর কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, এটা আমাদের দলের অভ্যান্তরিন মামলা। হারের সমীক্ষার জন্য কংগ্রেস পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ১০ টি জেলার নেতাদের দিল্লী ডাকে। এই বৈঠক দিল্লীর গুরুদ্বারা রকাবগঞ্জ পরিসরে হয়।
কংগ্রেস নেতারা বৈঠকের পর বাইরে আসার পরেই একে অপরের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। বৈঠকের পর পরিসরে চরম হাঙ্গামা হয়। গত মাসে সম্পন্ন হওয়া নির্বাচনে গাজিয়াবাদ আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ডলি শর্মার বাবা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশ শহরের কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্র ভারদ্বাজ এবং গাজিয়াবাদ জেলা সভাপতি হরেন্দ্র কসানা একে অপরের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার এই সমীক্ষা বৈঠক পশ্চিমি উত্তর প্রদেশের ১০ টি জেলাকে নিয়ে ছিল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আর রাজ বব্বর ১০ টি জেলার প্রার্থী, প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদ আর পদাধিকার নেতাদের নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এরপরের সমীক্ষা বৈঠক আগামী ১৪ই জুন উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌতে হবে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে একাই নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের আশানরুপ সফলতা অর্জন হয়নি। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁদের পারিবারিক আমেঠি আসন থেকে নির্বাচনে হেরে যান। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস শুধুমাত্র সোনিয়া গান্ধীর রায়বেরালি আসনকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
কংগ্রেস এই বছরেই পশ্চিম উত্তর প্রদেশের দ্বায়িত্ব জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আর পূর্ব উত্তর প্রদেশের দ্বায়িত্ব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দিয়েছিল। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও কংগ্রেস ৮০ টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করে।