জিয়াগঞ্জের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপি জিয়াগঞ্জের ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করলেও তা খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন যে, দশমীর দিন দুপুর ১২:০৬ থেকে ১২:১১ এর মধ্যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। মাত্র পাঁচ মিনিটেই তিন খুন!
কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটে তিন জনকে কি খুন করা সম্ভব তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপিও। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সত্যিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সহ জিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দেরও দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
জিয়াগঞ্জের ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাও। একই সঙ্গে জিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। অনুপম তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “নাম – উৎপল বেহেরা !!! পেশাদার খুনি নয় !! অতি সাধারণ রাজমিস্ত্রি !!! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশের দাবি, “বন্ধুপ্রকাশের গোটা পরিবারকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে খুন করা”-র কথা স্বীকার করেছে বছর কুড়ির উৎপল !!! অন্যদিকে এই খুনের সমান্তরাল তদন্তে নামা দিদি’র CID’র কয়েকজন কর্তা মনে করেন – ছোটখাটো চেহারা উৎপলের পক্ষে পাঁচ মিনিটে তিন-তিন জনকে খুন করা সম্ভব নয় !!! মানুষকে এতটা মূর্খ ভাবা ঠিক নয়। সরকার যতই গল্প ফাঁদে ঠিক একদিন আসল সত্য সামনে আসবেই !!! # হোক CBI !!!”
এছাড়াও জিয়াগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, মুখ বাঁচাতে সাতদিন ধরে পুলিশ গল্প বানিয়েছে। কিন্তু সেই গল্পটা অতীব দুর্বল, যা লোকে খাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, জিয়াগঞ্জের নৃশংস হত্যা-কান্ডে ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। উৎপল বছর কুড়ির এক যুবক, যিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। উৎপলের বীমার ২৪০০০ টাকা জমা দেয়নি বন্ধু প্রকাশ বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, বন্ধুপ্রকাশ তাকে গালিগালাজ করেছে বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, রাগ থেকেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বন্ধু-প্রকাশকে। কিন্তু একাংশের প্রশ্ন, দুপুর বেলায় এলাকায় লোক ভর্তি। সেখানে একের পর এক খুন হল তা কেউ জানতে পারল না? এমনকি কোনও চেঁচামেচি পর্যন্তও হল না? উঠছে প্রশ্ন।