আন্তর্জাতিক মহলে দেশের সন্মান বাড়লে সেই দেশের ক্ষমতা কতটা হতে পারে তা আরো একবার দেখিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধুমাত্র একটা টুইট যে কোনো বড়ো শক্তিশালী দেশকে কিভাবে বেসামাল করতে পারে তার দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত, চীন ও আমেরিকার পরিপ্রেক্ষিতে বড়ো আপডেট সামনে এসেছে। আসলে বিগত কয়েক ঘন্টায় এমন কিছু হাইভোল্টেজ ঘটনা ঘটেছে যা পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছে।
আসলে ভারত ও আমেরিকা একসাথে চীনকে চেপে ধরেছে। যে দ্রুতগতিতে ঘটনাক্রমগুলি হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে পুরো পরিকল্পনা ভারত, আমেরিকা আগে থাকতেই করেছিল। ঘটনার শুরু হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট দ্বারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দালাই লামার জন্মদিন উপলক্ষে এক টুইট করেন। সেখানে তিনি দালাই লামকে শুভেচ্ছা জানান। এক টুইট আর চীনের বিরুদ্ধে শুরু হয় খেলা। একবারে আন্তর্জাতিক লেভেলের খেলা। যার দিকে নজর ঘুরে যায় পুরো বিশ্বের মিডিয়ার।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইটের সাথে সাথে তিব্বতে চীনের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠতে শুরু হয়। টুইটের প্রভাব এতটাই ছিল যে জিনপিংকে সমস্ত কাজ ছেড়ে দৌড়াতে হয় তিব্বতে। চীনের রাষ্ট্রপতি বাধ্য হয়ে পৌঁছে যান তিব্বতের মানুষকে আশ্বাস দিতে। সেখানে তিব্বতের প্রতি চীনের প্রেম নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর তিব্বত কার্ড খেলা দেখে মাঠে নেমে পড়ে আমেরিকাও।
আমেরিকা বিদেশমন্ত্রী তিব্বত কার্ডের খেলাকে আরো উস্কে দিতে চলে আসেন ভারতে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী এন্তনি ব্লিঙ্কন (Antony Blinken) ভারতে এসে তিনি প্রথমেই দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সাথে। এরপরই তিনি দালাই লামার প্রতিনিধির সাথে মিটিং করেন। জানিয়ে দি, আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী সেই ব্যাক্তির সাথে মিটিং করেন যিনি চীনকে দু টুকরো করে তিব্বত দেশ তৈরির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। দু দিন আগেই আমেরিকা এই মিটিংয়ের ঘোষণা করেছিল।
আমেরিকার ঘোষণা শুনে চীনের তরফ থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকা চীনের হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে দালাই লামার প্রতিনিধির সাথে মিটিং করেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে অবধি পুরো বিশ্বে তিব্বত বা দালাই লামাকে নিয়ে কোনো চর্চা ছিল না। তবে এখন ভারত ও আমেরিকা একসাথে মাঠে নামে যে খেলা শুরু করেছে তাতে একবারে কোনঠাসা ড্রাগন।