তিন বাংলাদেশী(Bangladeshi ) রোহিঙ্গা (Rohingya) পাচারকারীকে ধরলো উত্তরপ্রদেশের Anti Terrorist Squad বা ATS।
এ টি এস (A T S) সূত্রে খবর , একটি স্পেশাল গ্রুপ তৈরী হয়েছে যারা বাংলাদেশ (Bangladesh) ও মায়ানমার (Myanmar) থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জাল নথির মাধ্যমে ( জাল/fake ভোটার
আই কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও রেশন কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে ভারতের নাগরিক বানিয়ে ভারতে পাকাপাকি ভাবে থাকবার ব্যবস্থা করে দেয়।
এই চক্রের বাংলাদেশিরা তাদের মুসলিম নাম গোপন রেখে বাঙালী নাম (হিন্দু) নিয়ে কাজ করে।
ATS বর্ধমান (Bardhaman , West Bengal) থেকেও মিঠুন মন্ডল (Mithun Mandal) নামে এক ট্রাভেল এজেন্ট কে এই চক্রর সাথে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
ATS গোয়েন্দাদের কাছে গোপন খবর ছিল যে এই চক্রের মূল তিন পান্ডা (বাংলাদেশী ) মহম্মদ শাওন আহমেদ /Mohammed Shaon Ahmedh ওরফে পিন্টু দাস/Pintu Das , মোমিন উর ইসলাম/Momin Ur Islam ওরফে রোমি পাল /Romi Pal, ও মেহেন্দি হাসান /Mehendi Hasan ওরফে বাপি রায় /Bapi Roy দিল্লী (Delhi) থেকে শিয়ালদহ (Sealdah) আসছে রাজধানী এক্সপ্রেসে।
সেই মতো, ATS গোয়েন্দারাও সাদা পোশাকে দিল্লী থেকে শিয়ালদহ গামী রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠে যেই ট্রেনে ওই তিন বাংলাদেশী পাচারকারীরাও আসছিলো।
অবশেষে বারাণসীর দীন দয়াল রেলওয়ে স্টেশন (Deen Dayal Railway Station , Varanasi , Uttar Pradesh) থেকে ওই তিন বাংলাদেশী রোহিঙ্গা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশের ATS। তাদের লখনৌ নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর নকল (fake) পাসপোর্ট (passport), আধার কার্ড (Adhaar Card) , ভোটার আই ডি কার্ড (Voter I Card), প্যান কার্ড (Pan Card), দিল্লী মেট্রোর স্মার্ট কার্ড(Delhi Metro Smart Card) পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়া ১২ টি গোপন ব্যাঙ্ক একাউন্ট (12 secret bank accounts) এরও সন্ধান পেয়েছে ATS এবং এই গোপন একাউন্ট গুলিতে প্রচুর পরিমানে টাকা জমা আছে বলে জানা গিয়েছে।