১৭ই ডিসেম্বর কানপুর আইআইটির ওপেন থিয়েটার স্পেসের একটি জমায়েত | জমায়েত হয়েছিল জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের প্রবেশ ও তারপর বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের প্রতিবাদ স্বরূপ| সেই জমায়েত গোল করে ঘিরে রেখেছে একটি ছেলেকে | একমউ দাড়ি ছেলেটির হাতে একটি মোবাইল | তাতে লেখা কিছু কবিতা | বলা ভালো উর্দু সায়েরি| তার কিছু অংশই অত্যন্ত বিতর্কিত মনে হয় কানপুরের ফ্যাকাল্টি ডঃ ভাসি শর্মার | তখনই ওই জমায়েতের ও ওই ছেলেটির পড়া কবিতার অংশ সহ একটি ভিডিও ও একটি চিঠি প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরের কাছে পাঠান |
জানা যায় ,ছেলেটির নাম ফৈয়াজ | ফৈয়াজের পড়া কবিতার যে অংশ নিয়ে বিতর্ক সেখানে সে বলছে,অন্য সব দেব-দেবীর মূর্তি সরিয়ে দিলে ,তবেই একমাত্র আল্লাহর নাম থাকবে | এই লব্জ বলার পরেই ক্যাম্পাসে থাকা পড়ুয়াদের একাংশকে রে রে করে তেড়ে যেতে দেখা যায় ফৈযাজের দিকে | পুলিশ তাদেরকে আটকে দিলেও | তারা মুখে বলতে থাকে এই কথাগুলো তারা মানছে না | কেন এই কথাগুলো বলার অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ,প্রশ্ন করেন এর বিরুদ্ধে আওয়াজ করা পড়ুয়ারা |
তারাও ওই প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টির মতই এই মন্তব্যকে ভারতবিরোধী সাম্প্রদায়িক তকমা দিতে থাকে| এই ঘটনায় কানপুর আইআইটির ফ্যাকাল্টি ভাসি শর্মার মত আরও ১৫জন পড়ুয়ার সাক্ষরিত চিঠি ডিরেক্টরের কাছে জমা পড়ার পর থেকেই তাদেরকে শাসানোর অভিযোগ তুলে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছেন ওই শিক্ষক ও পড়ুয়ারা | যদিও প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর এই ছাত্রটির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন |