আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলের সাথে সাথে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে আনসার-আল -ইসলাম। উলেখ্য এই জঙ্গি সংগঠনটি স্বয়ং আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর পশ্চিমবঙ্গের মালদা , মুর্শিদাবাদ, উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম ও নদীয়া জেলায় ওই জঙ্গি সংগঠন কয়েক বছর ধরে সক্রিয়।
বাংলাদেশের এলিট বাহিনী রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান যশোরের মণিরামপুর থেকে গত শনিবার ৪ জন আনসার-আল-ইসলামের জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। উলেখ্য এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সারা বাংলাদেশ জুড়ে সেক্যুলার ব্লগারদের হত্যালীলা চালায়।
ধৃতদের নাম হচ্ছে আবদুল্লা আল গালিব (২৪), মহম্মদ আলি শেখ (২১), যশোর সদরের মহম্মদ জাফর হোসেন ওরফে শিমুল খান (২১) ও নাদির হোসেন (৩০)।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালকিডাঙ্গি গ্রামে অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করে এলিট বাহিনী। ওই সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী নথিপত্র, একটি ল্যাপটপ এবং পাঁচটি মোবাইল জব্দ করা হয়। মনে করা হচ্ছে দেশে বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের।
কয়েকদিন আগেই দুই সমকামী আন্দোলনকারীকে হত্যার মামলায় ছয় আনসার জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে রাজধনী ঢাকায় সমকামী আন্দোলনকারী জুলহাজ মান্নান (৩৫) ও মাহবুব রাব্বি তনয়কে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। বাংলাদেশে আইন বিরুদ্ধ হলেও সমকামী ও রূপান্তরকামীদের জন্য একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন জুলহাজ। ঘটনার দিন তাঁর বাড়িতেই ছিলেন অভিনেতা তনয়। সেখানেই তাঁদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দেশে। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশে আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার আল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) দ্রুত বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কার্যকলাপ। কয়েকদিন আগেই খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল-ইসলাম’-এর দুই জঙ্গিকে। সোনাডাঙা থানার ময়লাপোতা মসজিদ এলাকা থেকে নাসিম ও হাসান নামের দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়।