তুঙ্গভদ্রা নদীর ওপারে মন্দির নগরী হাম্পি থেকে কিছু দূরে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম আনেগুন্ডি, জেলার নাম কোপালা। আনেগুন্ডি গ্রামের কাছে রয়েছে এক পর্বত। রুক্ষ পর্বত দেখতে অনেকটা একটা বিশালকায় বানরের মতো। পর্বতের মাথা সমতল। সেখানে রয়েছে শুভ্র বর্ণের এক মন্দির।
ওই লাল রুক্ষ পর্বত, তার নাম অঞ্জনেয় পর্বত। সেখানেই ছিল সুবিশাল বানর সাম্রাজ্য কিষ্কিন্ধ্যা। এখানেই বানর রাজ কেশরী এবং মা অঞ্জনার গর্ভে ভগবান শিবের অংশ মহাবীর মহযোগী প্রথম চিরঞ্জীবী হনুমান আবির্ভূত হন। মা অঞ্জনার নামেই ওই পর্বতের নাম ছিল অঞ্জনেয় পর্বত। পরবর্তীকালে এই পর্বত অঞ্জনাদ্রী নামে বিখ্যাত হয়।
উপরের ওই শুভ্র মন্দির হনুমানের। অঞ্জনাদ্রী থেকে হাম্পির দৃশ্যগুলি স্বর্গীয় অনুভূত হয়। ভিট্টলারায় মন্দির, অচ্যুতরায় মন্দির, মাতঙ্গা পাহাড়, বিরূপাক্ষ মন্দিরের গোপুরা… এগুলো অমরাবতীর ন্যায় সুন্দর লাগে। আশেপাশের উপত্যকা, পাহাড়, হ্রদ, কৃষি জমি, তুঙ্গভদ্রা নদী এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য – কেবল মন্ত্রমুগ্ধ করে!
মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য, আশ্চর্যজনক সূর্যাস্তের দৃশ্য, পাহাড় এবং পাথরের মধ্যে বয়ে চলা তুঙ্গভদ্রা নদীর নৈসর্গিক দৃশ্য আপনার সমস্ত মানসিকচাপ বা ক্লান্তি দূর করে দেবে। মন্দির ভ্রমন হয়ে গেলে হাম্পির ধ্বংসাবশেষ এবং আশেপাশের অন্যান্য মহিমান্বিত পাহাড়গুলিও ঘুরে দেখতে পারেন।
ধানক্ষেত, পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব দৃশ্য, নারকেল বাগান, একদিকে রকি পর্বত এবং অন্যদিকে তুঙ্গভদ্রা আপনার কানে প্রকৃতির গোপন সৌন্দর্যের কথা ফিস ফিস করে বলে চলবে ।
মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় শ. বোমাই সম্প্রতি অঞ্জনাদ্রীর উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন এবং ঠিকই বলেছেন, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু।” অঞ্জনাদ্রীই যে হনুমানের জন্মস্থান এই বিশ্বাসের কোনো প্রমাণের প্রয়োজন নেই।
©দুর্গেশনন্দিনী