উদ্বাস্তু শব্দটিও পরিহাস করবে…

 নতুন বছরেই সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে অন্ধ্রপ্রদেশ। চড়ছে রাজনীতির পারদও। রামের মূর্তি ভাঙা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ-দাগতে দেখা যাচ্ছে শাসক-বিরোধী দু-পক্ষকেই। এদিকে আসল ঘটনার সূত্রপাত ২৮ ডিসেম্বর বলেই জানা যাচ্ছে। ওইদিন ভিজিয়ানগড়া জেলায় ৪০০ বছরের পুরানো রামথেরথমের মন্দির ভাঙচূড়ের ঘটনা সামনে আসে।

গত মঙ্গলবার অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুষ্কৃতি রামথেরথমের মন্দিরে হামলা চালায় বলে খবর। ভগবান রামের একটি মূর্তির মাথাও কেটে নেওয়া হয় বলে খবর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চলতি সপ্তাহেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।

 পাশাপাশি ঘটনার পর একসপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগেও আওয়াজ উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। অন্যদিকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস আবার এই ঘটনার জন্য সরাসরি আঙুল তুলেছে তেলেগু দেশম পার্টির দিকেই। অন্যদিকে রাজ্যজোড়া বিতর্কের আবহেই শনিবার ক্ষতিগ্রস্ক মন্দির পরিদর্শনে যান টিডিপি সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। আর তারপর থেকেই ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।

https://www.thenewsminute.com/article/two-more-instances-temple-vandalism-andhra-opposition-parties-demand-action-140687

এদিকে শনিবার চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনে যান আরও একাধিক বর্ষীয়ান টিডিপি নেতা। মন্দিরের পাশাপাশি সংলগ্ন গোটা এলাকাও পরিদর্শন করেন তারা। যদিও মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় গর্ভগৃহে ঢুকতে পারেনিন তারা। পাশাপাশি মঙ্গলবার ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে মন্দিরের বেশ কিছু পুরোহিতের সঙ্গেও টিডিপি নেতারা কথা বলেন বলে জানা যায়। এদিকে নাইডুর মন্দির সফরের কথা শোনা মাত্রই একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতার।

এমনকী জগনমোহন রেড্ডিকে ‘হিন্দুদের বিশ্বঘাতক’ বলেও তুলোধনা করে টিডিপি। একইসাথে জগনমোহনের সময় রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় নাইডুকে। এমনকী তার আমলেই ১২৭ টি মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু হিন্দুদের ভাবাবেগে বড়সড় আঘাত লাগলেও এখনও পর্যন্ত একজন অপরাধীও সরকার গ্রেফতার করতে পারেনি বলেও সুর চড়ান নাইডু।

ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হয়। অন্ধ্র জয় করে ওয়েসি তাকে একটু একটু গ্রাস করছে। বঙ্গেও তো ভোটে দাঁড়াতে আসছে। বঙ্গের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। কাল আমাদের কিন্তু কেউ আর জায়গা দেবে না। উদ্বাস্তু শব্দটিও পরিহাস করবে। একত্রিত হন বা মারা যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.