বন্ধুগণ,
দুদিন আগেই ভুবনেশ্বরে মানুষের ছায়া পড়া না পড়া নিয়ে একটি বিদগ্ধ বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ আমরা যে পত্রিকাটি এগিয়ে রাখে তাদের পাতায় পড়েছি।
সেই শিক্ষা সম্পূর্ণ হতে না হতে এসে গেল “ঘূর্ণিঝড়, পূর্ণিমা আর চন্দ্রগ্রহণের ‘ ত্র্যহ স্পর্শ’ যোগ”।
এখন, আমি অশিক্ষিত অসংস্কৃতিবান মূর্খ। লোকে আড়ালে ‘চাড্ডি’ বলে আর সামনে গো মুখ্যু।
অভিধান খুলে দেখলাম ত্র্যহস্পর্শ শব্দার্থ একই দিনে তিন তিথির মিলন অথবা একই তিথিতে তিন দিনের মিলন- একটু বিরল হলেও অঙ্কের হিসেবে সম্ভব। সূর্য সিদ্ধান্ত ও তেমনটাই জানাচ্ছেন। তারপর অবশ্য বলাই যায় শব্দার্থের ব্যাপক ব্যবহারে যে কোন তিনটি খারাপ ঘটনার একই সাথে ঘটাকে ত্র্যহস্পর্শ বলা হয়। তো ভাবলাম–ঠিকাছে! যদিও পূর্ণিমা একটা তিথিই, এবং যেমন আমের সাথে আমড়ার যোগ করা যায় না সেরকম একবার বিজ্ঞানের বক্তব্যের আর আরেকবার একই বক্তব্যে সাহিত্যের ব্যঞ্জনার দোহাই দেওয়া যায় না …তবুও ইহা আনন্দবাজার! বইলছে যহন ঠিকই হইবেক।
কিন্তু লহরা, খেলা অহনো বাকি!!
ঘূর্ণিঝড় ত না হয় বুঝলাম, হাতে রইল।
কিন্তু পূর্ণিমা আর চন্দ্রগ্রহণ কি করে এক্কেরে দুইটা আলাদা ঘটনা ইটো মাথায় এল না।
চন্দ্র গ্রহণ না হলেও পূর্ণিমা হতেই পারে কিন্তু চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে মানে পূর্ণিমা তো অবশ্যই রে বাবা।
তবুও ইহা আনন্দবাজার! বইলছে যহন ঠিকই হইবেক।
সোমপ্রকাশ বেড়া