“সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং আমাদের ভূমিকা” শীর্ষক অনলাইন ভাষণ, বক্তা পূজনীয় সরসঙ্ঘচালক ডা. মোহনজী ভাগবত। ( 5 p.m., 26 April, 2020)
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (R.S.S.)-এর মাননীয় সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতজী আজ সঙ্ঘের নাগপুরের প্রধান কার্যালয় থেকে সকল স্বয়ংসেবক তথা সকল ভারতীয়দের জন্য বৌদ্ধিক প্রদান করেন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসী তথা স্বয়ংসেবকদের করণীয় বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।এবং করোনা-উত্তর কালে কীভাবে নতুন ভারতের উত্থান ঘটবে,সে-বিষয়েও তাঁর বৌদ্ধিকে উল্লেখ করেন।
করোনা প্রতিহত করার জন্য তিনি সরকার নির্দেশিত বিধি নিষেধ সকল দেশবাসীকে পালন করার জন্য আহ্বান জানান।স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আমরা নিজেরা অনুশাসন পালনের মধ্যকে শিক্ষা দেব।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে দুই জন সন্তের হত্যাকান্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন,”দেশবাসী,কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না।বিচারের আঙিনায় এনে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে।”
তিনি বলেন,” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকগণ একান্তে আত্ম সাধনায় রত থাকেন।এই সাধনার ফলেই সকলে আত্মশক্তি লাভ করেন।দেশের জন্য কাজ করে যাওয়াই প্রধান সাধনা।দেশের-সমাজের সেবা আমরা নিরন্তর করে চলি।”
তিনি বলেন,” আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে।ভয় নয়।”
ভাগবতজী মানবজীবনের প্রধান ছয় শত্রু “নিদ্রা-তন্দ্রা-দীর্ঘসূত্রিতা-ভয়-ক্রোধ-আলস্য” ত্যাগের জন্য সকলকে আহ্বান করেন।তিনি বলেন,” ক্রোধ থেকে বিচারবুদ্ধি লোপ পায়।সরকার এই সংকটকালে তৎপরতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।দ্রূত কাজ করতে হবে।একজন স্বয়ংসেবকের এই চিন্তন হবে যে,’দেশহিতের জন্য আমার ভূমিকা সর্বাধিক হবে।দেশের একশ ত্রিশ কোটি নাগরিক সকলেই ভারতের সন্তান।প্রত্যেকেই পরস্পরের ভাই।”
করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে তিনি বলেন, “সংকট এসেছে।সংকট প্রতিহত হবে।সংকটের অবসানে দেশ স্বাবলম্বী হবে।রাষ্ট্র পুনর্নিমাণের কাজ চলছে।দেশের প্রতি স্বাভিমান জাগাতে হবে।স্বদেশী কৃষি,শিল্প,কারিকর,দেশহিতে পরিকল্পনা নিতে হবে।বিদেশের উপরে নির্ভরতা কমাতে হবে।”
“করোনা-উত্তর পুনর্নিমাণের সময় জল সংরক্ষণ,জৈবিক পদ্ধতিতে কৃষির বিস্তার,গোবংশের প্রবর্ধন,প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ,স্বচ্ছতা আনয়ন করতে হবে।সমাজ জীবন,রাজনীতি,প্রশাসন সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা রক্ষা করতে হবে।সমাজে শান্তির বাতাবরণ গড়ে তুলতে হবে।সমাজে আচরণের সংস্কার করতে হবে।রাজনীতি থেকে ভ্রষ্টাচার,ব্যক্তিস্বার্থ দূর করতে হবে।সংকটের অবসানে এক নতুন ভারতের উত্থান হবে।”
ভাষান্তর : সুজিত চক্রবর্তী
টুইটার