২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করেছিল, দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও পাকিস্তান সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার আশপাশে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। এই মর্মে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছিল। এবার সেই অধ্যাদেশের বদলে জম্মু-কাশ্মীরে সংরক্ষণ নিয়ে নির্দিষ্ট বিল আসছে সংসদে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার লোকসভায় সেই বিল পেশ করবেন। বিজেপি সভাপতি কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথমবার সংসদে কোনও বিল পেশ করতে চলেছেন। এদিন তিনি ভাষণে বুঝিয়ে বলবেন, কেন ওই বিল গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন বিলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের বদলে সাধারণভাবে জম্মু-কাশ্মীরে বসবাসকারী আর্থিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জাতিধর্ম নির্বিশেষে জম্মু-কাশ্মীরের দরিদ্র যুবকরা রাজ্য সরকারের চাকরিতে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ১০৩ নম্বর সংশোধনীর মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর ব্যতীত সারা দেশেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে।
লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় বিজেপি নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করবেন। ওই ধারা জম্মু-কাশ্মীরে পৃথক সংবিধান, পৃথক পতাকা রাখতে অনুমতি দেয় এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিষয় বাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে আইন তৈরি করার অধিকার দান করে।
নির্বাচনী ইশতেহারে বিজেপি বলেছিল, ক্ষমতায় এলে সংবিধানের ৩৫ এ ধারাটিও বাতিল করবে। ওই ধারায় বলা আছে, জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা কাদের বলা হবে। স্থায়ী বাসিন্দা বাদে অপর কেউ সেখানে সম্পত্তির মালিক হতে পারেন না। সরকারি চাকরিও পান না।
জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। সেই জন সঙ্ঘের আমল থেকেই হিন্দুত্ববাদীরা সংবিধানের ওই দু’টি ধারা বাতিল করার কথা বলে আসছে।