কাশ্মীর নিয়ে শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চলেছে মোদী সরকার। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আলাদাভাবে বৈঠক করেন। মোদীর বাসভবনে ওই বৈঠক হয়। তারপরে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বিশেষ কমিটি। তাতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাদে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার পরে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসে। বেলা সাড়ে ১০ টা নাগাদ জানা যায়, অমিত শাহ সংসদে বিবৃতি দেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলতে চলেছেন, তার জন্য অপেক্ষা করছে সারা দেশ। কিছুদিন আগেই কাশ্মীরে মোট ৩৮ হাজার নিরাপত্তারক্ষী পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে দিয়েছে মাঝপথে। কাশ্মীর থেকে সব পর্যটককে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। রবিবার মধ্যরাতে গৃহবন্দি হয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। বিপদের আশঙ্কা করে কাশ্মীরের অনেক বাসিন্দা আপৎকালীন ভিত্তিতে খাদ্য ও জ্বালানি যোগাড় করে রাখছেন।
কাশ্মীর উপত্যকার রাজনীতিকদের ধারণা, সরকার সংবিধানের ৩৫ এ এবং ৩৭০ ধারা বাতিল করতে চলেছে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে ওই দুই ধারা বাতিল করে দেবে। রবিবার ওমর আবদুল্লা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেভাবে সেনা সমাবেশ করেছে, অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে দিয়েছে, তাতে মনে হয় কাশ্মীর নিয়ে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লার বাড়িতে রবিবার রাজ্যের প্রত্যেকটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা বৈঠক করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে ফারুক জানান, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রতিনধি দল পাঠাবেন। তাঁরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলবেন, ৩৫ এ এবং ৩৭০ ধারা বাতিল করলে তার পরিণাম কী হতে পারে।
ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি ও জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন গৃহবন্দি হন।