শিবসেনার দাবি মানা সম্ভব নয়, মহারাষ্ট্র নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন অমিত শাহ

ফল ঘোষণা হয়েছে গত মাসের ২৪ তারিখ। তারপর থেকে দড়ি টানাটানি চলছিল। মঙ্গলবার রাতে শেষমেশ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গিয়েছে মারাঠা মুলুকে। এই সময়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার মুখ খুললেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছেন, শিবসেনা যে ভাগাভাগির মুখ্যমন্ত্রীত্ব দাবি করছেন তা কোনও ভাবেই মানা সম্ভব নয়।

এদিন শাহ বলেন, “ভোটের প্রচারে এসে আমি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছি ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশি। কই তখন তো কেউ আপত্তি জানাননি! এখন এসব মানা সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “ভোট জেতার পর জোট সঙ্গী যদি অবাস্তব শর্ত চাপায় তাহলে তা বিজেপির পক্ষে মানা সম্ভব নয়।”

নাটকের পর নাটক চলেছে মহারাষ্ট্রে। শিবসেনা-বিজেপির দর কষাকষির পর এনসিপি এবং কংগ্রেসও সরকার গঠনের সমীকরনে যুক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু তারাও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বিজেপি প্রতিনিধিদল যে দিন রাজ্যপালকে জানাল তারা সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে না  তারপর থেকেই শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের একাংশ নেতার মধ্যে আলোচনার গতি বেড়ে যায়। ভোটের ফল প্রকাশের দিন থেকেই এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার বলছিলেন যে মানুষ তাঁদের বিরোধী আসনে বসার পক্ষেই রায় দিয়েছে। ফলে এনসিপি সরকার গঠনের জন্য কোনও চেষ্টা করবে না। একই কথা বলছিলেন কংগ্রেস নেতারাও। কিন্তু বিজেপি-শিবসেনা অক্ষে চিড় ধরার পর সেই পওয়ারেরই কৌশল বদলে যায়। ঘোলা জলে পোনা ধরতে নেমে পড়েন পওয়ার। অহমেদ পটেল ও সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও তার আগেই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন। জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। পিছিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ব্রাজিল সফর। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সুপারিশে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.