বর্তমান বিশ্বরাজনীতিতে ভারতের ক্ষমতা ক্রমবর্ধমান। পৃথিবীর সব দেশই চায় ভারতকে তার পাশে পেতে। বিশেষত আমেরিকা আর রাশিয়া দুই পরাশক্তিই ভারতকে তাদের শিবিরে পাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবেই আসন্ন আমেরিকা সফরে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষন দেওয়ার অনুরোধ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি জানিয়েছেন যে তিই এই ভাষন দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। তিনি স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার, সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল এবং হাউস ডেমোক্রেটিক নেতা হাকিম জেফ্রিসকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
তিনি আরো বলেন যে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য গর্বিত। এই অংশীদারিত্ব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির ভিত্তির উপর নির্মিত।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ২২শে জুন মার্কিন কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
তিনি ভারতের ভবিষ্যত সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করবেন এবং দুই দেশ বিশ্বব্যাপী যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয়েছে ত্র বিষয়ে কথা বলবেন।
রাষ্ট্রপতি জো বিডেন ২২শে জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সরকারী রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আতিথ্য দেবেন। সেখানে একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজও থাকবে।
কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন। একটি বিবৃতিতে বলেছেন‚ “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের দ্বিদলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে, ২২শে জুন বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের একটি যৌথ সভায় ভাষণ দেওয়ার জন্য আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী মোদিকে) আমন্ত্রণ জানানো আমাদের সম্মানের বিষয়।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও ভারতকে এই জায়গা নিয়েছে আমেরিকান কংগ্রেস। ২০১৬ সালের জুনের পর এই দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি দুবার এই আন্তর্জাতিক সম্মান পাচ্ছেন। মোদির আগে এই তালিকায় রয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু! যিনি মোট তিনবার ভাষন দিয়রছেন। অর্থাৎ ইজরায়েলের মতো ভারতও আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে উঠেছে। যে কারনেই মার্কিন কংগ্রেস এর এই সিদ্ধান্ত!