আলাপন বাবু একজন উচ্চপদস্থ আমলা হয়ে শিরদাঁড়া সোজা না রেখে নিজেরটা গুছিয়ে নেবার চক্করে মমতা ব্যানার্জীর চাটুকারিতা করাকেই শ্রেয় বলে মনে করেছিলেন। আর এই চাটুকারিতার ফলও তিনি হাতেনাতে পেয়েছেন। আলাপন বাবুর স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ছিলেন। কিন্তু আলাপন বাবুর চাটুকারিতার জন্য উনার স্ত্রী 2017 সালে রেজিস্ট্রার থেকে একেবারে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের Vice-Chancellor(উপাচার্য)পদে উন্নীত হন এবং এখনও ওই পদে বহাল তবিয়তে আছেন। রেজিস্ট্রার একটি Administrative পোস্ট, অন্যদিকে Vice-Chancellor মূলত Teaching পোস্ট। তাই রেজিস্ট্রার থেকে Vice-Chancellor পদে উন্নীত হওয়াটা সম্পূর্ণ বেআইনি হলেও এক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। আবার সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের Vice-Chancellor পদে উন্নীত করার ফলও মমতা ব্যানার্জী হাতেনাতে পেয়েছেন। 2017 সালের জুলাই মাসে Vice-Chancellor পদে বসেই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সোনালী দেবী মমতা ব্যানার্জীকে ঐ বছরেরই অক্টোবর মাসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের D. Litt ডিগ্রি দিয়ে সম্মানিত করেন। মানে give & take নীতি আরকি। আবার স্ত্রীকে Vice-Chancellor পদে উন্নীত করেও আলাপনবাবু ক্ষান্ত হননি। এরপরেও তিনি সমানে চাটুকারিতা চালিয়ে গেছেন। আর তার ফলস্বরূপ রাজ্যে আলাপনবাবুর থেকে যোগ্য আমলা থাকা সত্ত্বেও স্বরাষ্ট্রসচিব থেকে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব হয়েছেন। আর মুখ্যসচিব হয়েই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা ব্যানার্জিকে নানান রকম কেলেঙ্কারির থেকে আড়াল করেন। তার মধ্যে অন্যতম দুই হাজার কোটি টাকার PPE কিট কেলেঙ্কারি। চাটুকারিতার সর্বশেষ নিদর্শন নানান রকম অসদোপায় অবলম্বন করে তৃণমূলকে বিধানসভা ভোটে জিতিয়ে আনা। আর এর পুরস্কার স্বরূপ TET উত্তীর্ণরা চাকরি না পেলেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ডবল ডবল চাকরি পেয়ে গেলেন। কে বলে রাজ্যের উন্নয়ন হচ্ছে না!!
2021-06-02