শুধু সীমান্তে আগ্রাসন নয়, ভারতকে (India) চাপে ফেলতে সাইবার হানাও জারি রেখেছে প্রতিবেশি চিন (China)। ভারতীয়দের গোপন তথ্য পাচার করা হচ্ছে। এই অভিযোগে একশোরও বেশি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। তবে এবার গোয়েন্দা রিপোর্টে সামনে এল অন্য তথ্য। অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা তথা ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য চিনে পাচার করছে সে দেশের বহুজাতিক সংস্থা আলিবাবা (Alibaba)। এজন্য তারা ব্যবহার করছে অন্তত ৭২টি সার্ভার (Server)। তবে খুব শীঘ্রই গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু হবে, দাবি গোয়েন্দাদের।
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এক শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত লোভনীয় অফারেই দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যক সংস্থার কাছে ‘ফাঁদ’ পাতছে আলিবাবা। ইউরোপীয় সার্ভারের তুলনায় এ দেশে আলিবাবার ওই সার্ভারে তথ্যাদি জমা রাখার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। আর সেই ফাঁদে ইতিমধ্যে পা দিয়ে ফেলেছে ভারতীয় সংস্থাগুলি।
গোয়েন্দাদের আরও অভিযোগ, চিন কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই ভারতীয়দের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি চিনের রিমোট সার্ভারে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে বহু ভারতীয়ের গোপন তথ্য চিনে পাচার হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আলিবাবা কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। শীঘ্রই এই নিয়ে তদন্তও শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে গোয়েন্দা।
সম্প্রতি আরেকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সামনে এসেছিল আরেকটি ভয়ানক তথ্য। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনীতি-বিনোদন-ক্রীড়া-সংবাদমাধ্যম- এমনকী, অপরাধী ও জঙ্গিদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করছে শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। দক্ষিণ পশ্চিম চিনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন শহরের ওই সংস্থার অন্যতম ‘ক্লায়েন্ট’ শি জিনপিং সরকার, পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। এই তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bannerjee)-সহ বহু বিশিষ্ট ভারতী। বাদ পড়েননি ক্রিকেটার শচীন তেণ্ডুলকরও।